শবে বরাত (Shab-e-Barat) একটি ইসলামী উৎসব (Islam Festival)। সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন এই পরব। ইসলামী ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তম রাতে এই উৎসব পালন করার রীতি। শবে বরাতকে ইসলামী বর্ষপঞ্জির (Muslim Calendar) পবিত্রতম রাত হিসাবে মনে করা হয়, যা লাইলাতুল-বরাত বা লাইলাতুল-বারা বা মধ্য শাবান নামেও পরিচিত।
'শব 'একটি পারসি শব্দ যার অর্থ 'রাত' এবং আরবিতে 'বরাত' অর্থ পরিত্রাণ ও ক্ষমা বলে। বিশ্বাস করা হয় যে এদিন আল্লাহ সকলের পূর্ববর্তী ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে আগামী বছরের ভাগ্য লিখে রাখেন। অতএব, কোনও দোষ ত্রুতির মার্জনার আবেদনে ও ঈশ্বরের করুণা চেয়ে রাতটি অতিবাহিত হয়।
আরবে এই উৎসব লাইলাতুল-বরাত হিসাবেই পালন করা হয়। সাধারণত এই উৎসব পবিত্র রমজানের আগেই পড়ে। পবিত্র শবে বরাত যথাযথ ধর্মীয় উৎসাহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সারা সারা দেশে পালিত হয়।
শবে বরাত ২০২২-র দিনক্ষণ (Shab-e-Barat Date)
শবে বরাত মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব। এই বছর ১৮ মার্চ সূর্যাস্তের পর থেকে ১৯ মার্চ সকাল পর্যন্ত সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
শবে বরাত পালনের নিয়ম (Rules Of Shab-e-Barat)
বেশিরভাগ মানুষ সারা রাত জেগে থাকেন শবে বরাতে। সাধারণত মাঝে মধ্যে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং পবিত্র কোরান পাঠ করেন ভোর অবধি। অনেকে মৃত আত্মীয়দের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে নিকটস্থ কবরস্থানগুলিতেও যান। এদিন দান ধ্যান করার নিয়ম রয়েছে। দরিদ্রদের অর্থ এবং খাদ্য বিতরণ করা হয় শবে বরাতে।
ভারত, বাংলাদেশ দেশগুলিতে শবে বরাত উপলক্ষে বাড়িতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন স্বাদের খাবারের। যার মধ্যে রয়েছে পরোটা, হালুয়া, সুজি, সিমুই, মিষ্টি ইত্যাদি। বর্তমানে অনেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে বাজিও পোড়ায় এদিন।
শবে বরাতের ইতিহাস (History Of Shab-e-Barat)
এই উৎসবের ইতিহাস জানতে গেলে শিয়া মুসলমানদের দ্বাদশ ইমাম মোহাম্মদ আল-মাহদীর জন্মের সময়ে ফিরে তাকাতে হবে। শবে বরাতের রাতটি তাঁর জন্মদিন হিসাবে পালন করা হয়। অন্যদিকে সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশ্বাস করে যে, এদিন কেবল আল্লাহ নোহের সিন্দুককে বন্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। এ কারণেই বিশ্বজুড়ে মানুষ শবে বরাত উদযাপন করেন।