Vastu Tips for Shami: হিন্দু ধর্মে অনেক গাছ-গাছালিকে পূজাযোগ্য বলে মনে করা হয়েছে। বাড়িতে এই গাছ-গাছালি লাগানো খুবই শুভ। এই গাছগুলি ঘরে ইতিবাচকতা নিয়ে আসে, দেব-দেবীর আশীর্বাদ বর্ষণ করে। ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। লজ্জাবতী বা শামী উদ্ভিদ এই শুভ বৃক্ষের মধ্যে একটি। হিন্দু ধর্মে শনিদেবের সঙ্গে লজ্জাবতী বা শামী গাছের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। শনিবার লজ্জাবতী গাছের পুজো করলে শনির কৃপায় ঘরে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে শিবের আশীর্বাদও মেলে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে লজ্জাবতী গাছ লাগানোর উপকারিতা।
বাড়িতে লজ্জাবতী গাছ লাগানোর বাস্তু টিপস
- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, লজ্জাবতী গাছের জন্য, গাছটিকে সঠিক জায়গায় রোপণ করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী এর যথাযথ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
- যদিও সপ্তাহের যে কোনও দিন বাড়িতে লজ্জাবতীর চারা রোপণ করা যেতে পারে, তবে শনিবার বাড়িতে এই গাছ লাগানো বিশেষভাবে শুভ। এতে খুশি হন শনিদেব।
- লজ্জাবতী গাছ লাগানোর সময় দিকটির যত্ন নেওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির পূর্ব দিকে লজ্জাবতীর গাছ লাগালে প্রচুর সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এছাড়া দক্ষিণ দিকে লজ্জাবতী গাছ লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়া বাড়ির ছাদেও রাখা শুভ।
- বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে লজ্জাবতী গাছ লাগাতে পারেন। বিশেষ করে অর্থের ক্ষেত্রে আসা সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
- লজ্জাবতী গাছ লাগানোর সময় মনে রাখবেন যে এটি যত্ন সহকারে করবেন। অন্যথায় শনিদেব রাগ করতে পারেন। বাড়িতে যদি লজ্জাবতীর গাছ থাকে তবে প্রতি শনিবার এটির পুজো করুন। এছাড়াও একটি প্রদীপ জ্বালান। এটি করলে ঘরে অনেক উন্নতি ও সুখ আসে।
- লজ্জাবতী গাছের আশেপাশে কখনই আবর্জনা বা ময়লা ফেলবেন না। এতে করে শনির ক্রোধের মুখে পড়তে হতে পারে।
- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজায় লজ্জাবতী গাছ রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয় এতে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়।
- কথিত আছে যে বিবাহে বাধা এলে লজ্জাবতী গাছের কাছে ৪৫ দিন ঘি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে।
- বাড়িতে লজ্জাবতী গাছ লাগানো চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
লজ্জাবতী উদ্ভিদ সম্পর্কিত বিশ্বাস ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করলে মহাভারত ও রামায়ণেও এই উদ্ভিদের বর্ণনা পাওয়া যায়। শনিবার এই গাছের পুজো করলে শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। এছাড়াও লজ্জাবতী গাছ শনির সাড়ে সাতি থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)