জীবনে অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটে যে অনেক পরিশ্রম এবং সৎ ভাবে কাজ করার পরে ও ইচ্ছেমত ফল পাওয়া যায় না। এর কারণে অনেক সময় লোকেরা নিজেদের ভাগ্যকে দোষারোপ করতে থাকেন। এমন লোকেদের মনে হয়েছে দুর্ভাগ্য নিরন্তর তাদের পিছু ধাওয়া করছে। যদি আপনিও এমন হতাশের দলে থাকেন তাহলে শুনে নিন যে আপনার দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে বদলে দিতে খুব বেশি সময় লাগবে না। যা করলে আপনি আপনার জীবনে দুর্ভাগ্য সবসময় জন্য দূর হয়ে যাবে তা জেনে নিন।
দুর্ভাগ্য কেন আসে?
যখন কুন্ডলীর মহাদশা, অন্তর্দশা ভালো গ্রহের চলছে, কিন্তু যখন একদম কাজ বিগড়ে যায়। প্রমোশন হওয়ার কথা সত্বেও তা কোনও কারণে আটকে যায়, তখন বুঝে যাবেন যে দুর্ভাগ্য আপনার পিছুধাওয়া করছে। আমরা জীবনে অনেকবার দুর্ভাগ্যকে নিজের নিমন্ত্রণ দিয়ে থাকি। কুন্ডলীতে সঠিক গ্রহ-মহাদশা, অন্তর্দশা হওয়ার পরেও আমরা তার বিপরীত কার্য করি।
দুর্ভাগ্য দূর করার এটি সবচেয়ে সহজ উপায়
সব সময় গ্রহের সম্পর্কিত দান-পুজা পাঠ করতে থাকুন। যারা অপরাধ করেন, বাজে আচরণের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সঙ্গে মিশবেন না। এই ধরনের বদ অভ্যাস যারা করেন তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। আপনার কোনও গুরু বা কুলদেবী-দেবতার শরণে থাকুন এবং তাহলে দুর্ভাগ্য আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে।
ভুল খাওয়া-দাওয়া, অভ্যাস সৌভাগ্যকে দুর্ভাগ্যের পথে বদলে দেয়
আপনি কোনও অপরাধী বন্ধুর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করলে এতে আপনার ব্যবহারের ভেতরে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। সাধারণভাবে আপনার মধ্যেও বেশ কিছু খারাপ অভ্যাস আচরণ চলে আসে। যদি আপনি কোনও রকমের ফ্রিতে কোন বস্তু নিয়ে খান তাহলে তার খারাপ প্রভাব পড়ে এবং আপনি অসুস্থ হতে শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ Vastu Tips: বাড়িতে এই ২ গাছ থাকলেই খুলবে ভাগ্য, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি
উপায় কী?
সব সময় এবং বাজে ব্যক্তির বাড়িতে এবং তার কাছে খাওয়া-দাওয়া করা থেকে দূরে থাকুন। কারও এঁটো খাওয়ার খাবেন না। বিনে পয়সায় কোনও জিনিস ধার নেবেন না এবং প্রয়োজন যদি পরে তাহলে তার মূল্য অবশ্যই দিয়ে দিন। খুব গুরুতর প্রয়োজনে ধার নিতে হলে তা দ্রুত শোধ করে দিন।
জামাকাপড়ও দুর্ভাগ্যের কারণ হয়
যদি আপনি সাফ-সুতরো কাপড় না পড়ে ময়লা এবং অপরিচ্ছন্ন কাপড় পড়েন, যদি প্রতিদিন হওয়া পুজো পাঠে আপনি কালো, নীল অথবা গাঢ় রঙের প্রয়োগ করেন, আপনি সমর্থ্য হওয়ার পরেও দানে সাধারণ কাপড় দান করেন, তাহলে দুর্ভাগ্য আপনার পিছনে আসে।
উপায় কি?
সব সময় পুজো-পাঠে কখনও দান করতে গিয়ে হালকা দান করবেন না। কারও পড়া জিনিস. বস্ত্র আপনি পড়বেন না। কোনও মহিলা বা বয়োজ্যেষ্ঠ তথা মাতা-পিতার অপমান করে দুর্ভাগ্য আসে। কোনও মহিলাকে অপমান করা বা তিরস্কার করা উচিত নয়। কোনও আত্মীয়র সঙ্গে জমি-জমা পয়সা, কখনও হরপ করবেন না। মাতা পিতার সেবা বিনা লোভে করুন। যদি কোন মহিলাকে অপমান করা হয় তাহলে তাকে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিন। কখনও অশ্বত্থ, শিশু বা বটগাছের ডালপালা, অযথা ছিঁড়বেন না। রোজ সকালে স্নান করে ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। এই সমস্ত উপায় আপনাকে সৌভাগ্যের পথে ফিরিয়ে আনবে।
আরও পড়ুনঃ Har Ghar Tiranga Campaign: ডিজিটাল তেরঙায় নিজের ছবি চান? এই ছোট্ট কাজটি করুন