ঘরে আর্থিক সমৃদ্ধি ও ধনলাভের জন্য মা লক্ষ্মীর প্রসন্ন থাকাটা জরুরি। শাস্ত্র অনুসারে মা রুষ্ট হলে সব কিছু হারাতে হয়। কয়েকটি বদভ্যাস থাকলে ঘরে অর্থহানি হয়। টাকা পয়সা আসে না। শাস্ত্র অনুসারে সূর্যাস্তের পর কিছু কাজ করতে নেই। এমন ৫টি কাজের উল্লেখ করা হল এই প্রতিবেদনে।
নখ ও চুল কাটবেন না- সূর্যাস্তের সময় এবং সূর্যাস্তের পর কখনও নখ এবং চুল কাটবেন না। শেভিংও করবেন না। এতে জীবনে নেতিবাচকতা বাড়ে। এর সঙ্গে আসে দারিদ্র্য।
গাছ স্পর্শ করবেন না- সূর্যাস্তের পরে গাছগাছালি স্পর্শ করা উচিত হয়। এছাড়া ফল ও পাতা ছেঁড়াও অনুচিত। বিশ্বাস করা হয়,সূর্যাস্তের পরে গাছ এবং গুল্ম ঘুমিয়ে পড়ে। এই সময়ে তাঁদের স্পর্শ করা ঠিক নয়।
সূর্যাস্তের সময় ঘুমাবেন না- বড়দের কাছ থেকে প্রায়শই শুনেছেন যে সন্ধ্যায় ঘুমোনো উচিত নয়। দেবী লক্ষ্মী সন্ধ্যায় ঘরে প্রবেশ করেন। তাই এই সময়ে কখনই ঘুমোনোর ভুল করবেন না। এই সময় ঘুমোলে মা লক্ষ্মী কখনই বাড়িতে বাস করেন না। জীবনে অর্থকষ্ট হয়। নেতিবাচক শক্তি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সূর্যাস্তের পর ঘুমিয়ে থাকলে স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর।
সূর্যাস্তের পর ঝাট দেবেন না- সূর্যাস্তের পর ঘর পরিষ্কার করবেন না। সূর্যাস্তের পর ঝাট দেওয়া, ঝুল ঝাড়া ইত্যাদি সাফাইয়ের কাজ ঠিক নয়। এতে মা লক্ষ্মী রেগে যান। খারাপ সময় শুরু হয়ে যায়।
টক জিনিস দান করবেন না- দান করা ভাল কাজ তবে সূর্যাস্তের সময় বা সূর্যাস্তের পরে ভুল করেও টক জিনিস যেমন দই, আচার এবং লবণ দান করবেন না। আপনার বাড়ির লক্ষ্মী চলে যাবে অন্যের ঘরে।
খাবার জিনিস খোলা রাখবেন না- সূর্যাস্তের পর খাবারদাবার আঢাকা রাখবেন না। শাকসবজি ফলমূল সব ঢেকে রাখুন।
জামাকাপড় কাচবেন না- সূর্যাস্তের সময় জামাকাপড় কাচবেন না। শুকোতেও দেবেন না। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে।
আরও পড়ুন- ভাগ্যে অ্যারেঞ্জ না লভ ম্যারেজ? নিজের জন্ম তারিখ মিলিয়ে দেখুন তো