Advertisement

Vishwakarma Puja 2022: পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিনিয়ার- 'দেবশিল্পী' বিশ্বকর্মা? জানুন পুরাণের গল্প

Vishwakarma Puja 2022- Unknown Facts: হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।

বিশ্বকর্মাকে বলা হয় 'দেবশিল্পী' বিশ্বকর্মাকে বলা হয় 'দেবশিল্পী'
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 16 Sep 2022,
  • अपडेटेड 10:16 AM IST

উন্নত ভবিষ্যৎ, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে, বিভিন্ন ধরনের পেশার মানুষ এদিন বিশ্বকর্মার পুজো (Vishwakarma Puja) করেন। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিকে 'কন্যা সংক্রান্তি' বলা হয়। পুরাণ মতে এই তিথিতেই  বিশ্বকর্মার জন্ম হয়।

হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। পুরাণ মতে ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মা, গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন। মনে করা হয়, তিনিই পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিনিয়ার। জানেন, বিশ্বকর্মাকে (Vishwakarma) কেন 'দেবশিল্পী' (Craftsman Deity) বলা হয়? রইল বিস্তারিত...

 

আরও পড়ুন

ঋগবেদ অনুসারে, বিশ্বকর্মা হলেন সর্বদর্শী ও সর্বজ্ঞ। এমনকী দেবতাদের প্রাসাদের নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। তাই তিনি দেবশিল্পী নামেও পরিচিত। দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী পবিত্র দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন। এছাড়াও রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, ব্রহ্মার পুষ্পক রথ নির্মাণ করেছিলেন তিনি। 

স্বর্গের দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, বিশ্বকর্মাই  এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। শিল্পবিদ্যায় বিশ্বকর্মার রয়েছে একচ্ছত্র অধিকার। তিনি নিজেই চতুঃষষ্টিকলা, স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদের প্রকাশক। 

 

কথিত আছে, তাঁকে স্বর্গীয় ছুতারও বলা হয়। এজন্যেই মূলত কারাখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং যন্ত্রপাতি আছে এরকম সব স্থানেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়। তবে মনে করা হয়, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কোনও শিল্পকর্ম করা অশুভ। তাই এদিন কারিগরেরা সমস্ত যন্ত্রপাতি বিশ্বকর্মার নামে সমর্পন করে, এগুলি ব্যবহারে বিরত থাকেন। 

শুধু কলকারাখানা, শিল্পক্ষেত্র নয়, অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। এই বিশেষ দিন পুজোর পর রকমারি খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সমবেতভাবে ঘুড়ি ওড়ানো রীতি রয়েছে। এছাড়াও এই পুজোর আগের দিন পশ্চিমবাংলার আদি বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা সারা রাত জেগে রান্না পুজো করেন। এটিও বাঙালিদের একটি জনপ্রিয় পার্বণ। 

 

বিশ্বকর্মা পুজো ২০২২ -র দিনক্ষণ

* এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর (বাংলায় ৩১ ভাদ্র), শনিবার। 

* সপ্তমী তিথি ছাড়ছে ঘ ৩/৫৫/২৯ -এ।  

* সূর্যর কন্যা রাশিতে গমন- সকাল ৭. ৩৫ মিনিট নাগাদ। 

* অমৃত যোগ - দিবা ঘ ৯।২৯ গতে ১২। ৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭। ৫৪ গতে ১০। ১৮ মধ্যে ও ১১। ৫৩ গতে ১।২৯ মধ্যে ও ২।১৭ গতে ৩।৫৩ মধ্যে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement