কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র তিনটি কিস্তি বাকি রয়েছে ৷ কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ১ জানুয়ারি ২০২০, ১ জুলাই ২০২০ ও ১ জানুয়ারি ২০২১ ডিএ ও ডিআর বাকি রয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ১ জুন ২০২০ থেকে ডিএ-র তিনটি কিস্তি পাওয়ার কথা যা ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ফ্রিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
কেন্দ্র সরকারের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী দীর্ঘ সময় ধরে মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ-এর জন্য অপেক্ষা করে চলেছেন ৷ তবে এখনই এই অপেক্ষার অবসান হবে বলে মনে হচ্ছে না ৷
সম্প্রতি একটি নথির ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। সেই অফিস মেমোরব়্যান্ডামে জাবি করা হয় ১ জুলাই থেকে মহার্ঘভাতা এবং ডিয়ারনেস রিলিফ দেওয়া ফের চালু হবে। এমনকি বকেয়া ডিএ এবং ডিআর তিনটি ইনস্টলমেন্টে দেওয়া হবে বলে উল্লেখিত ছিল সেই নথিতে।
তবে সেই নথু ভুয়ো বলে দাবি করে ট্যুইট করা হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে এরকম কোনও অফিস মেমোরব়্যান্ডাম ইস্যু করা হয়নি।
এদিকে ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স এবং ডিয়ারনেস রিলিফ নিয়ে শনিবার কেন্দ্রের বৈঠক ছিল। প্রায় ৬০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর আশায় ছিলেন যে সুখবর মিলতে চলেছে। কর্মচারীদের আশা ছিল, ১ জুলাই থেকে ডিএ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৮ শতাংশ। কিন্তু আপাতত সেই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলির হিসাব অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধির সূচকের ভিত্তিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তিন শতাংশ, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার শতাংশ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত চার শতাংশ ডিএ বকেয়া আছে। তাই মাসিক ডিএ ১১ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
এদিকে তিন দফায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত রাখায় বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, মহার্ঘভাতা নিয়ে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর এবং বিদ্বেষপরায়ণ। এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।