মদের দোকানে শুরু হয়েছে ছাড়ের খেলা। সকাল থেকেই অনেকের মোবাইলের নোটিফিকেশনও আসতে শুরু করেছে। একটি বোতল কিনলে, আরেকটি বিনামূল্যে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় দোকানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন সুরাপ্রেমীরা।
কীভাবে এমন ছাড় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে? আসলে পুরনো মজুদ মদের স্টকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মদের ‘স্টক ক্লিয়ার’ করার জন্য মদের খুচরো বিক্রেতারা বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছেন।
এই সুযোগে সুরাপ্রেমীরা অনেক ব্র্যান্ডের মদে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন। আসলে মদের দামে এই ছাড়ের ছড়াছড়ির নেপথ্যে রয়েছে দিল্লির নতুন আবগারি নীতির সুবিধা।
দিল্লিতে নতুন আবগারি নীতি কার্যকর হওয়ার প্রভাব মদের দোকানগুলিতে দেখা যাচ্ছে সেই শনিবার থেকেই। নতুন আবগারি নীতিতে মদ বিক্রেতারা এতটাই ছাড় পেয়েছেন যে, তারা তাদের মজুদ মদের দামে কতটা ছাড় দেবেন, তা সহজেই নির্ধারণ করতে পারছেন।
অর্থাৎ, দিল্লিতে নতুন আবগারি নীতি কার্যকর হওয়ার প্রভাবে মদ বিক্রেতারা এমআরপি থেকে অনেকটাই কম দামে মদ বিক্রি করতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে বিক্রি বাড়াতে অনেক বিক্রেতাই মদের এমআরপি-র ওপর ৩০-৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে পেরেই শনিবার থেকে মদের দোকানে ভিড় লেগে যায়। দেশের রাজধানী শহরের অনেক জায়গায় পুলিশ প্রশাসনকে এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপ আর ক্রেতাদের হুড়োহুড়ির ঠেলায় অনেক জায়গায় পুলিশকে দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
শুধু ভারতীয় ব্র্যান্ড নয়, দেশে তৈরি বিলিতি মদ আর বিদেশ থেকে আমদানি করা মদের ওপরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অনেক দোকানদার বাইরে রেট লিস্ট টাঙিয়ে দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি বাড়তি ক্রেতা টানতে কোন ব্র্যান্ডের মদে কী অফার, কত ছাড়— সব জানিয়ে বিজ্ঞাপিত করছেন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মদের দোকানগুলিতে এই ছাড় অব্যাহত থাকবে। কারণ, নতুন অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত স্টক লিকুইডেট করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে মদের খুচরো বিক্রেতাদের কাছে। এই কারণেই এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আগে সরকার নির্ধারিত দামেই মদ বিক্রি করতে হতো দোকানিদের। তবে গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া আবগারি নীতি অনুযায়ী, দিল্লিতে মদের খুচরা বিক্রিতে অনেকটাই ছাড় দেওয়া যেতে পারে।