অকালবৃষ্টি আর পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি— এই দুইয়ের জোড়া চাপে অগ্নিমূল্য লক্ষ্মীপুজোর বাজার! গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, মানিকতলা, হাতিবাগান— কলকাতার সর্বত্রই শাক-সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার দরে যেন আগুন লেগেছে!
শহরের বড় বাজারগুলোতে দামে ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বেগুন, টমেটো, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, ক্যাপসিকাম। ঢ্যাঁড়স, পটল, ঝিঙা, গাজর— সবেরই দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে। ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজও এখন কেজিতে ৫০ টাকা ছুঁয়েছে।
শাক-সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ফলের। নারকেল প্রতি পিস ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ডজন, শশাও কেজিতে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে গিয়েছে।
আপেলের দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়তে বাড়তে প্রতি কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। পানিফল ১০০ টাকা কিলো, পেয়ারাও ৮০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।
লক্ষ্মীপুজোর আগে বেশ কিছুটা দাম বেড়েছে ফুলের। পদ্ম ১৫-২০ টাকা পিস হিসাবে বিকোচ্ছে। গাঁদা কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা, গাঁদার মালা প্রতি ঝুড়িতে ১৫০-১৮০ টাকা। গাঁদার মালা ৫ টাকা পিস থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়ে গিয়েছে। গোলাপ হাজার পিস ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোপাটি ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। সবজি থেকে মাছ, ফুল থেকে ফল— সবেরই দাম বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের নাজেহাল অবস্থা হয়।