জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশে কমেছে সোনার চাহিদা। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সোনার দাম এবং বিয়ের অনুষ্ঠান কম থাকায় সোনার প্রতি আকর্ষণ কমেছে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও পড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারেও। সোনায় কেনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ভারতীয়রা। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে সোনার চাহিদা বিপুল কমেছে।
WGC-এর মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে দেশে সোনার চাহিদা কমেছে ১৮ শতাংশ। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে পুনর্ব্যবহৃত সোনার চাহিদা ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। সোনার চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানি ৫৮ শতাংশ কমে হয়েছে ১৩২.২ টন।
জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে, বেশি দাম এবং কম শুভ অনুষ্ঠান যেমন বিবাহ ইত্যাদির কারণে সোনার চাহিদা কমেছে। এর পাশাপাশি দাম আরও কমার সম্ভাবনা থাকায় মানুষ সোনা কেনাও স্থগিত করেছে।
WGC-এর মতে, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জানুয়ারি থেকে সোনার দাম বাড়তে শুরু করে। এর ফলে তিন মাসে সোনার দাম ৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি ১০ গ্রাম ৪৫ হাজার ৪৩৪ টাকায় পৌঁছয়। গত বছরের প্রথম তিন মাসে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৪২ হাজার ৪৫ টাকা।
WGC রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জানুয়ারী-মার্চের মধ্যে ভারতে সোনার চাহিদা ১৮ শতাংশ কমে হয়েছিল ১৩৫.৫ টন। সেখানে ২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চ মাসে সোনার চাহিদা ছিল ১৬৫.৮ টন।
জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ১২ শতাংশ কমে ৬১,৫৫০ কোটি টাকার বিকিয়েছে সোনা। জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে গয়নার চাহিদাও হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ কমে ৯৪.২ টনে নেমে এসেছে।
ডব্লিউজিসি-র তথ্য বলছে, করোনাকাল ছেড়ে দিলে ২০১০ সালের পর এটিই তৃতীয় ত্রৈমাসিক, যখন সোনার গয়নার বিক্রি ১০০ টনের কম হয়েছে। গয়নার বিক্রি ২০ শতাংশ কমে ৪২ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতবছর জানুয়ারি-মার্চ মাসে ৫৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার গয়না বিকিয়েছিল।