গত ১৪ বছর ধরে, দেশলাই তৈরির শিল্প মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কার সম্মুখীন হয়েও দেশলাই বাক্সের দাম বাড়তে দেয়নি। শেষবার দেশলাইয়ের দাম বাড়ানো হয়েছিল ২০০৭ সালে।
তখন এর দাম ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা করা হয়েছিল। কিন্তু ১ ডিসেম্বর, অর্থাৎ আজ থেকে দেশলাইবাক্সগুলি ১ টাকার পরিবর্তে ২ টাকায় পাওয়া যাবে। তামিলনাড়ুর শিবাকাশীতে "অল ইন্ডিয়া চেম্বার অফ ম্যাচবক্স ইন্ডাস্ট্রিজ"-এর সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাঁচটি প্রধান দেশলাই শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে ১ ডিসেম্বর থেকে দেশলাইয়ের দাম ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার শিবাকাশীতে অল ইন্ডিয়া চেম্বার অফ ম্যাচবক্স ইন্ডাস্ট্রিজের বৈঠকে দেশলাইয়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
দেশলাই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরা দাম বৃদ্ধির জন্য কাঁচামালের দামের সাম্প্রতিক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। দেশলাই প্রস্তুতকারকরা বলেছেন যে, দেশলাইবাক্স তৈরি করতে ১৪টি কাঁচামাল প্রয়োজন। আর প্রয়োজনীয় সমস্ত কাঁচা মালেরই দাম বেড়েছে।
এক কেজি লাল ফসফরাস ৪২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮১০ টাকা হয়েছে। একইভাবে, মোম ৫৮ টাকা থেকে ৮০ টাকা, বাইরের বক্স বোর্ড ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা এবং ভিতরের বাক্সের বোর্ড ৩২ টাকা থেকে ৫৮ টাকা হয়েছে। কাগজ, স্প্লিন্ট, পটাসিয়াম ক্লোরেট এবং সালফারের দামও ১০ অক্টোবর থেকে বেড়েছে। ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামও তার উপর বোঝা বাড়িয়েছে।
ন্যাশনাল স্মল ম্যাচবক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, দেশলাই নির্মাতারা ২৭০ থেকে ৩০০ টাকায় ৬০০টি দেশলাইবাক্সবক্সের (প্রতিটি বাক্সে ৫০টি দেশলাই) একটি বান্ডিল বিক্রি করছে।
এই দাম ৬০% বাড়িয়ে বান্ডিল প্রতি ৪৩০-৪৮০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে ১২% GST এবং পরিবহণ খরচ অন্তর্ভুক্ত নয়।
তামিলনাড়ু জুড়ে এই শিল্পে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় চার লক্ষ মানুষ নিযুক্ত রয়েছেন এবং প্রত্যক্ষ কর্মচারীদের ৯০ শতাংশেরও বেশি মহিলা। কর্মীদের আরও ভাল বেতন দিয়ে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাল বেতন পেলে কর্মীদের পরিবারগুলি বাঁচবে, বাঁচবে দেশলাই শিল্প।