বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করা দেশে চলতি বছরের বাজেটে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার বিমা খাতে বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (FDI) সীমা ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার ঘোষণা করেছিল। সোমবার সংসদের এই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বিমা ক্ষেত্রে এফডিআই বৃদ্ধির বিলটি আগেই লোকসভা পাস করেছে।
বিমা (সংশোধন) বিল ২০২১ ইতিমধ্যেই রাজ্যসভাতেও পাস হয়েছে। এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছিলেন যে, বিমা ক্ষেত্রে এফডিআই বাড়ানোর দরকার রয়েছে। আর এখনই সেই সময়। এই আইন বাস্তবায়ন হলে বিমা ক্ষেত্রে আরও আর্থিক গতি বৃদ্ধি পাবে।
জীবন বিমা সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান মূলধনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সহায়তা করবে এই নীতি এমনটাই মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। সেই কারণেই ক্যাপিং ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা এও বলেন সংস্থাগুলি কী পরিমাণ তাদের এফডিআই নিতে পারবে সে বিষয়ে যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেজন্য এই সংশোধনী করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই বিমা খাত একটি অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত সমস্ত কিছুই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। যদিও অর্থমন্ত্রীর মতে সাতটি পাবলিক সেক্টর এবং ৬১ টি বেসরকারী সংস্থা রয়েছে। তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন যে ২০১৫ সালে বিমা খাতে এফডিআই সীমা ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে সেই সময় ২৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আসে। সরকার বিশ্বাস করে যে বিমা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানো হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এর ফলে সাধারণ মানুষ আরও ভাল প্যাকেজ, আরও ভাল প্রিমিয়াম পেতে পারবে। এর পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হবে।
তবে অর্থমন্ত্রী সাফ জানান যে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা বিক্রির কথা যে বলা হচ্ছে সেই অভিযোগ মিথ্যা। কোন নীতি বলবৎ হচ্ছে তা বাজেটে বলা হয়েছে। বিলগ্নিকরণের পরও যে তহবিল জমা পড়বে ওই সংস্থার জন্য তা দেশেরই থাকবে।