ভারতীয় টাকার মুদ্রণের খরচ- ভারতীয় টাকা দেখতে অনেকটা কাগজের মতো হলেও তা কিন্তু মটেও সাধারণ কাগজ দিয়ে তৈরি নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রচলিত মুদ্রার কাগুজে নোটের মোট মূল্যের ৮৫.৭০ শতাংশই হল ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোট।
এ দেশে প্রচলিত মোট কাগুজে নোটের ৩১.১০ শতাংশই হল ৫০০ টাকার নোট। একেকটা নোটে গান্ধীজির টু কালার ছবি ছাড়াও আরবিআই লেখা স্ট্রিপের মতো অনেক কিছু খুঁটিনাটি বিষয় আছে।
দেশে প্রচলিত কাগুজে নোটে এমনই নানা খুঁটিনাটি বৈশিষ্ট যুক্ত করতে, সেগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বেশ ভাল রকমই খরচ হয়। যেমন, ৫০০ টাকার চেয়ে ২০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ বেশি! চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশের কোন নোট ছাপাতে কত টাকা খরচ পড়ে...
২০১৮-১৯ সালে ২০০০ টাকার নোট ছাপানোর খরচ অনেক কম ছিল। ভারতে মোট চার জায়গায় নোট ছাপানোর কাজ হয়। এই চারটি জায়গার মধ্যে দু’টি কেন্দ্র সরকারের অধিনে এবং দু’টি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধিনে পরিচালিত হয়।
কেন্দ্রের অধীনস্ত দু’টি নোটের ছাপাখানা রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাসিক আর মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) দু’টি নোটের ছাপাখানার একটি পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে (পি. বেঙ্গল) আর অন্যটি কর্নাটকের মহীশূর বা মাইসুরুতে।
১০ টাকার বা ৫০ টাকার একটি নোট ছাপাতে খরচ হয় ১ টাকা ১ পয়সা, ২০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ হয় ১ টাকা। ১০০ টাকার এক একটি নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ১ টাকা ৫১ পয়সা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০ টাকার একেকটি নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ২ টাকা ৯৩ পয়সা।
একইভাবে ৫০০ টাকার ছাপাতে খরচ হয় মোটামুটি ২ টাকা ৯৪ পয়সা। আর ২০০০ টাকার গোলাপি নোট ছাপাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের খরচ হয় ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।