মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মাছ, মাংস, শাক-সবজি, দুধ, ডিমের পাশাপাশি একটু একটু করে বেড়ে চলেছে চালের দামও। ফলে হেঁশেল সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে।
বিগত মাস ছয়েকের মধ্যে ধাপে ধাপে অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম। মিনিকেড, দুধেশ্বর, বাঁশকাঠি— সব ধরনের চালের দামই কেজিতে ২ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে।
তবে আগামী দিনে চালের দাম কমা তো দূরের কথা, উল্টে আরও বাড়তে চলেছে। এর প্রাথমিক এবং অন্যতম কারণ হল, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি চালের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়েছে।
বাংলাদেশে এ বছর ধানের ফলন অন্তত ২০ শতাংশ কম হয়েছে। তাই সে দেশের সরকার চালের উপর আমদানি শুল্ক কমাতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
এছাড়াও কেন্দ্রে মোদী সরকার গম রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় চালের উপর নির্ভরশীলতা আরও বেড়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে চালের দামে। ফলে আঞ্চলিক দাম থেকে বেশি দামে প্রতিবেশী দেশে চাল রপ্তানি বাড়তে পারে। যার প্রভাব পড়বে আঞ্চলিক বাজারে চালের দামের উপর।
এবার বাংলায় যে মিনিকিট চাল উঠেছে, তার গুণগত মান বেশ ভালো। উচ্চমানের শুকনো মিনিকিট মজুতও করেছেন রাজ্যের বহু ব্যবসায়ী। গতবার মোটামুটি এমন পরিস্থিতিতেই চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল।
জোগানের অভাবে প্রতিবেশী দেশে গত এক মাসে চালের দাম প্রায় ১২-১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে ভারত থেকে চাল কিনে ওই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
চালের রফতানি আর দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্র চাল রপ্তানির উদ্যোগ নিলেও বাংলাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। বাংলাদেশ সরকার যে সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকুক না কেন, এ রাজ্যে যাতে চালের জোগানে কোনও সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।