আজ নিয়ে টানা পঞ্চম দিন, শেয়ারবাজারে পতনের ধারা অব্যহত। বিশ্ববাজার থেকে দুর্বল সংকেতের কারণে সপ্তাহের প্রথম দিনে দেশীয় শেয়ারবাজারেও দুর্বল সূচনা হয়েছে।
সোমবারের প্রাথমিক লেনদেনে সেনসেক্স ৬৬১ পয়েন্ট বা ১.১২ শতাংশ কমে ৫৮,৩৭৫.৭৬-এর স্তরে নেমেছে। পাশাপাশি, নিফটি ২১০ পয়েন্ট নেমে ১৭৪০৭ পয়েন্টের স্তরে লেনদেন করছে।
গত সপ্তাহের শেষ দিনে, সেনসেক্স ৪২৭ পয়েন্টের পতনের সঙ্গে ৫৯,০৩৭ স্তরে এবং নিফটি ১৩৯ পয়েন্টের পতনের সঙ্গে ১৭,৬১৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছিল।
আইটি, মেটাল, অটো, ফার্মা এবং রিয়েলটি সহ সব সেক্টরে বেচা-কেনাতেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে হয়েছে দেশের শেয়ারকারবারীদের। বাজারে তীব্র পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। এই পতনের জেরে বিনিয়োগকারীদের ৫.২৮ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সোমবারের প্রাথমিক লেনদেনে সেনসেক্সের সবচেয়ে বড় পতনের রেকর্ড নথিভুক্ত হয়েছে বাজাজ ফাইন্যান্সে, ৩.৭৫ শতাংশ। এছাড়াও উইপ্রো, টেক মাহিন্দ্রা, এশিয়ান পেইন্টস, ইনফোসিস, এইচসিএল টেক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের শেয়ার দরে পতন হয়েছে। অন্যদিকে, সান ফার্মা, ভারতী এয়ারটেল, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এনটিপিসি-র শেয়ার দরে বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
আজ নিয়ে টানা পাঁচটি ট্রেডিং সেশন ধরে শেয়ারবাজারে পতনের ধারা অব্যহত। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের ১৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুধুমাত্র সোমবারের প্রাথমিক লেনদেনেই বিনিয়োগকারীদের ৫.৩০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার BSE তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মোট মার্কেট ক্যাপ ছিল ২,৬৯,৬৫,৮০১.৫৪ কোটি টাকা, যা সোমবারের প্রাথমিক লেনদেনে ৫,৩১,৫৭৬.০৫ কোটি টাকা কমে ২,৬৪,৩৪,২২৫.৪৯ কোটি টাকা হয়েছে৷
সেনসেক্স গত সপ্তাহে ২,১৮৫.৮৫ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ নেমে এসেছিল। অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি ৬৩৮.৬০ পয়েন্ট বা ৩.৪৯ শতাংশ কমেছিল। শেয়ারবাজারে তীব্র পতনের মধ্যে দেশের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির বাজার মূলধন সমষ্টিগতভাবে ২,৫৩,৩৯৪.৬৩ কোটি টাকা কমেছে।