দুনিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তালিকায় এখন তিনি। সেই গৌতম আদানিই নাকি ব্যবসা থেকে প্রবেশ করতে চলেছেন রাজনীতির অলিন্দে। জল্পনা ছড়িয়েছিল, অন্ধ্রপ্রদেশে থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন গৌতম অথবা তাঁর স্ত্রী প্রীতি। সেই জল্পনা নিয়ে এবার মুখ খুলল আদানি গোষ্ঠী। রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ব্যাখ্যা দিল আদানির সংস্থা।
আগামী ১০ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের ৪ রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। ওই চার আসনেই ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসির জয় নিশ্চিত। তারই একটিতে নাকি টিকিট পেতে চলেছেন আদানি! শোনা যাচ্ছিল, অমিত শাহ আদানির পরিবারের কাউকে টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সাংবাদ মাধ্যমের এই জল্পনায় জল ঢালল আদানি গোষ্ঠী। তারা জানিয়ে দিল, আদানি পরিবারের কারওর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা আগ্রহীও নন।
আদানি গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,'সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে গৌতম বা প্রীতি আদানিকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। এটা সর্বৈব মিথ্যা খবর। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নাম নিয়ে অহেতুক জল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। গৌতম আদানি বা পরিবারের কারওর রাজনীতিতে আগ্রহ নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তও হচ্ছেন না কেউ।'
২৫ এপ্রিল ফোর্বস বিশ্ব ধনী তালিকায় পঞ্চমস্থানে উঠে এসেছেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। তাঁর মোট সম্পত্তি ১২৩.১ বিলিয়ন ডলার। ওয়ারেন বাফেকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন আদানি। এমনকি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। ষষ্ঠস্থানে অম্বানি। তাঁর মোট সম্পত্তি ১২১.৭ বিলিয়ন ডলার। মাত্র ৫ লক্ষ টাকা পুঁজি গৌতম আদানি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কলেজেও পড়াশুনো করেননি। ১৬ বছর বয়সে মুম্বইয়ে গিয়ে হিরের কাজ শিখেছিলেন। পরে ১৯৮১ সালে গুজরাটে ফিরে গিয়ে প্লাস্টিক কারখানা শুরু করেছিলেন আদানি। ১৯৮৮ সালে শুরু করেছিলেন রফতানি ব্যবসা। ৫ লক্ষ টাকার আদানি এন্টারপ্রাইজই ১৯৯৪ সালে নথিভুক্ত হয় শেয়ারবাজারে।