ফের শিরোনামে ডিএ আন্দোলন। এবার মন্ত্রী অখিল গিরিকে হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মী তথা ডিএ আন্দোলনকারীরা। বকেয়া ডিএ সহ একাধিক দাবিতে শহিদ মিনারে আন্দেোলন করছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলনে রয়েছেন সরকারি কর্মী ও শিক্ষকরা। তাঁদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে তাঁকে হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মীরা।
ঘটনার সূত্রপাত, অখিল গিরির মন্তব্য ঘিরে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে জেলাশাসকের দফতরের একটি সভা থেকে অখিল বলেন, 'যাঁরা ডিএ-র দাবিতে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা তো নিজেদের ডিউটি করছেন না। তাঁরা যেন বেতন না পান। অফিস করবে না, দিনের পর দিন কামাই করবেন। আর বেতন নিয়ে নেবে? বেতন কেটে নেওয়া হোক। অফিস করো, কাজ করো, বেতন নাও। দিনের পর দিন অফিস কামাই করে ধর্নায় বসছে, আন্দোলন করবে। দায়িত্ব পালন না করে, অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে হবে না।'
অখিলের এই মন্তব্যেই ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মী তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করছেন। তারপরও সরকারের তরফে একের পর এক কটূ মন্তব্য করা হচ্ছে। তা কাঙ্খিত নয়। অখিল গিরির মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, অখিল গিরিকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতেই হবে। না হলেই চরম পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা।
এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'অখিল গিরি এর আগেও দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। এবার তিনি সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বললেন। অখিলবাবুর জেনে রাখা দরকার, সরকারি কর্মী-শিক্ষকদের বিভিন্ন খাতে ছুটি থাকে। সেই ছুটি তাঁরা কোথায় ব্যবহার করবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। আর উনি পারলে বেতন বন্ধ করে দেখান। পারবেন না। শুধু শুধু এই কথা বলে প্রচারের আলোতে আসতে চাইছেন। তবে উনি যে মন্তব্য করেছেন, তা যদি প্রত্যাহার না করেন তাহলে সরকারি কর্মীরা তাঁর বাড়ির সামনে অবস্থান-আন্দোলনে বসবেন। আর অখিল গিরিকে আরও বলব, সরকারকে বলুন ডিএ মিটিয়ে দিতে। তাহলেই হবে।'