Advertisement

Budget 2022 Digital currency: RBI আনছে ডিজিটাল মুদ্রা, Cryptocurrency-র সঙ্গে এর কী পার্থক্য? বিনিয়োগকারীদের কী লাভ?

বাজেট বক্তৃতায়, ডিজিটাল মুদ্রা অর্থাৎ 'ডিজিটাল রুপি' আনার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, RBI-এর ডিজিটাল মুদ্রা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শুরুতেই চালু হবে। এ নিয়ে RBI কাজও চালাচ্ছে বলে জানান। ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছে সরকার। কিন্তু কী এই ডিজিটাল মুদ্রা? কীভাবে ব্যবহার করা হবে এটি? ৮টি সহজ পয়েন্টে বুঝে নিন ডিজিটাল মুদ্রা এবং এর সুবিধাগুলি।

ক্রিপ্টোকারেন্সিক্রিপ্টোকারেন্সি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 02 Feb 2022,
  • अपडेटेड 9:00 AM IST
  • ডিজিটাল মুদ্রার পুরো নাম হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডিজিটাল মুদ্রা
  • রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জারি করবে, সরকারের স্বীকৃতি পাবে
  • এটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শীটেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে

Budget 2022: এবারের বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (FM Nirmala Sitharaman)। বাজেট বক্তৃতায়, ডিজিটাল মুদ্রা অর্থাৎ 'ডিজিটাল রুপি' (Digital Rupee) আনার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, RBI-এর ডিজিটাল মুদ্রা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শুরুতেই চালু হবে। এ নিয়ে RBI কাজও চালাচ্ছে বলে জানান। ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছে সরকার। কিন্তু কী এই ডিজিটাল মুদ্রা? কীভাবে ব্যবহার করা হবে এটি? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। ৮টি সহজ পয়েন্টে বুঝে নিন ডিজিটাল মুদ্রা এবং এর সুবিধাগুলি।

এটি একটি ডিজিটাল কারেন্সি, এভাবে ব্যবহার করা হয়

১. ডিজিটাল মুদ্রার পুরো নাম হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডিজিটাল মুদ্রা।
২. রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জারি করবে, সরকারের স্বীকৃতি পাবে।
৩. এটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শীটেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৪. এর বিশেষত্ব হল দেশের সার্বভৌম মুদ্রায় রূপান্তর করা যায়।
৫. ভারতের ক্ষেত্রে একে ডিজিটাল রুপি বলতে পারেন।
৬. দু'ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা আছে - খুচরো এবং পাইকারি।
৭. খুচরো ডিজিটাল মুদ্রা সাধারণ মানুষ এবং কোম্পানি দ্বারা ব্যবহৃত হবে।
৮. আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাইকারি ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন

নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই চালু হবে ডিজিটাল মুদ্রা

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করা হবে। এটি ডিজিটাল অর্থনীতিতে একটি বড় ক্ষেত্র তৈরি করবে। এটি মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ এবং কম ব্যয়বহুল করে তুলবে। তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরের শুরুতেই 'ডিজিটাল রুপি' চালু হবে।

ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধাগুলি কী কী?

- এটি কম ব্যয়বহুল। লেনদেনও দ্রুত করতে পারে।
- ডিজিটাল মুদ্রার তুলনায় মুদ্রা নোটের মুদ্রণ খরচ এবং লেনদেনের খরচ বেশি।
- ডিজিটাল মুদ্রার জন্য ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই, এটি অফলাইনেও হতে পারে।
- ডিজিটাল মুদ্রার ওপর নজর রাখবে সরকার। ডিজিটাল মুদ্রার ট্র্যাকিং সম্ভব হবে, যা নগদ অর্থে সম্ভব নয়।
- রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এটি চালনা করবে, কতটা এবং কখন ডিজিটাল রুপি ইস্যু করবে সেটা RBI-ই দেখবে।
- বাজারে টাকার অতিরিক্ত ঘাটতি সামলানো যায়।

Advertisement

ডিজিটাল এবং ক্রিপ্টো (Cryptocurrency) মুদ্রার মধ্যে পার্থক্য কি?

১. ডিজিটাল মুদ্রা দেশের সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জারি করে।
২. ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিনামূল্যের ডিজিটাল সম্পদ, এটি কোনও দেশ বা অঞ্চলের সরকারের এখতিয়ার বা নিয়ন্ত্রণের অধীনে নয়।
৩. বিটকয়েনের মত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিকেন্দ্রীকৃত এবং কোনও সরকার বা সরকারী সত্তার অধিভুক্ত নয়।

RBI আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাব, দেশের ডিজিটাল মুদ্রাকেও নোটের সংজ্ঞায় রাখতে হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল মুদ্রাকেও 'ব্যাঙ্ক নোট'-এর মতো দেখতে হবে। সে জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে আরবিআই। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা স্থানান্তর করতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রয়োজন হবে।

ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে সব পেমেন্ট সম্ভব

মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন আর্থিক বছরে কেনাকাটার জন্য পার্সে কাগজের নোট নিয়ে বাজারে যেতে হবে না। কারণ, আপনি ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে সব ধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন। 
 

Read more!
Advertisement
Advertisement