কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর মধ্যেই ৩ শতাংশ অতিরিক্ত ডিএ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল নবান্ন। শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতি অনুযায়ী, ১ মার্চ থেকে বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ ডিএ বেড়েছিল। এবার বাজেটে যুক্ত হয়েছে আরও ৩ শতাংশ। সবমিলিয়ে ৬ শতাংশ।
গত ১৫ জানুয়ারি বাজেট অধিবেশনের দিন ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর চিরকুট পড়ে জানিয়েছিলেন সে কথা। ওই ঘোষণার পর শুক্রবার এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী, সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত স্বশাসিত সংস্থা,সরকার অধীনস্থ সংস্থা, পঞ্চায়েত ও পুরসভা কর্মীরা এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন।
শুক্রবার নবান্নের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও খুশি নন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে দু'দিনের 'পেন ডাউন' পালন করেছেন তাঁরা। এবার ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছেন। তাঁরা এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের গিকে তাকিয়ে। দেশের শীর্ষ আদালতে ১৫ মার্চ ডিএ মামলা নিয়ে শুনানি। তাঁদের আশা, হাইকোর্টের মতো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও তাঁদের পক্ষেই রায় দেবেন।
একটি সংবাদ মাধ্যমে কো-অর্ডিনেশন কমিটি কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী জানান,'আমরা অধিকারের জন্য লড়াই করছি। ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পরও প্রতিবাদ করেছি। তাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তা কমবে না। কর্মচারীরা ভিক্ষা চান না। তাঁরা অধিকাররক্ষার লড়াই করছেন। আগামী ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট হবে। কেন্দ্রীয় ডিএ অনুযায়ী আমাদের প্রাপ্য দিতেই হবে।'
তৃণমূল সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তীর কথায়,'আগামী ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। ওই শুনানির আগে ডিএ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা অনুচি। বাম জমানাতেও আমরা বার বার ডিএ নিয়ে স্ট্যান্ডিং অর্ডারের দাবি করতাম। সেই দাবি মানা হলে আজ আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেতাম। তাই কো-অর্ডিনেশন কমিটির বন্ধুরা সেই জমানাও যেন মনে রাখেন।'
আরও পড়ুন- ১৫ দিনেই বড় ঘোষণা কেন্দ্রের? মাসে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে বেতন