আগামী ১৪ ডি তারিখ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দাখিল করা ডিএ (Dearness Allowance)-এর SLP মামলার শুনানি। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আশা ১৪ তারিখেই হয়তো ডিএ মামলায় তাঁদের পক্ষে রায় দেবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই মামলার আগেই আশাবাদী রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অনেকেই।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য। সম্প্রতি তিনি বলেন, 'ডিএ দিতেই হবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা একমাসে দিতে হবে। ২০১৫ সাল থেকে এরিয়ার। আগামী সপ্তাহটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।' শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়ে যত জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন,রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। এই মাসেই যে ডিএ নিয়ে সুখবর পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা তারই যেন ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু আরও বলেন, 'সব রাজ্য ডিএ দেয়। এখানে কেন্দ্রের সঙ্গে ৩৫ শতাংশের ব্যবধান। আর আদিত্যনাথ দীপাবলির সময় অতিরিক্ত দিয়ে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে ৩৯ শতাংশ বেশি।' রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'ডিএ আপনাকে দিতে হবে। কাউকে তাড়াতে হবে না। কোনও মিছিল-মিটিং করতে হবে না। ডিএ মামলার অর্ডার যেদিন হবে, সেদিন জেনে নিন, ১৪ তলা থেকে পালাবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা একমাসে দিতে হবে।'
রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলিরও আশা, পরবর্তী শুনানি অর্থাৎ ১৪ তারিখ এই মামলা ডিসমিস করে দেবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। এবং সরকারি কর্মীদের জয় হব। তাঁদের এই আশার পিছনে কারণ কী ? কারণ, বিচারপতি মাহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ ও তাঁর মন্তব্য। তিনি সোমবার বলেন, 'এই ডিএ দিলে রাজ্য সরকারের বোঝা বাড়বে, সে কথা ঠিক। কিন্তু ভারসাম্যেরও দরকার রয়েছে আর ডিএ মোটামুটি আইনি অধিকারের পর্যায়েই চলে গিয়েছে।'
আগের দিন শুনানিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সরকার পক্ষ ও সরকারি কর্মীচারিদের বক্তব্য শোনার পর আগামী ১৪ ডিসেম্বর ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করে। তবে সেই মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, দেনার দায়ে ডুবে থাকা রাজ্য সরকার ডিএ দিতে গেলে আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়বে।