Advertisement

DA West Bengal News : রাজ্যের ডিএ মামলার বড় আপডেট: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল শর্টনোট, 'বকেয়া মিলবেই'

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ (Dearness Allowance) মামলা। তাই আগেই এল বড় আপডেট। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা SLP ডিসমিস হয়ে যাবে বুধবার। মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Dec 2022,
  • अपडेटेड 3:58 PM IST
  • বুধবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি
  • তাই আগেই এল বড় আপডেট


বুধবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি। তাই আগেই এল বড় আপডেট। নির্দেশ মতো মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারি পরিষদ ও ইউনিটি ফোরাম শর্টনোট জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court DA Case)। আর এক মামলাকারী সংগঠন স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন শর্টনোট জমা দেবে আগামীকাল। মামলাকারী সংগঠনগুলির আশা, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা SLP ডিসমিস হয়ে যাবে। কালই এই মামলা ডিসমিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলাটি ৫১ নম্বর সিরিয়ালে ওঠার কথা। 

আইনজীবীদের একাংশে দাবি, বুধবারের শুনানি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ। আগের শুনানিতে মাননীয় বিচারপতি মাহেশ্বরী জানিয়েছিলেন, 'এই ডিএ দিলে রাজ্য সরকারের বোঝা বাড়বে, সে কথা ঠিক। কিন্তু ভারসাম্যেরও দরকার রয়েছে আর ডিএ মোটামুটি আইনি অধিকারের পর্যায়েই চলে গিয়েছে।' তারপরই শর্টনোট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকার-সহ সব পক্ষকে। 

আরও পড়ুন : পাকা বাড়ি থাকলে আবাস যোজনার সুবিধে পাবেন? জানিয়ে দিল নবান্ন

মামলাকারী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সেই শর্টনোটে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যকে জানাতে হবে তাদের অবস্থান। মামলাকারী সংগঠনগুলির দাবি শর্টনোটে রাজ্য সরকার যাই লিখুক না কেন, তার পিছনে যুক্তিও থাকতে হবে সরকারের কাছে। আর ঠিক এখানেই পিছু হটতে হবে রাজ্যকে। কারণ, এর আগে SAT সহ একাধিক জায়গায় রাজ্য সরকার এই মামলায় হেরেছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ যে মৌলিক অধিকার তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট। তাই রাজ্যের কাছে নতুন কিছু বলার থাকবে না বলেই দাবি কর্মচারি সংগঠনগুলির। 

এই বিষয়ে ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, 'রাজ্য সরকার শুধু সময়ের অপব্যবহার করছে। আমরা আশা করছি সুপ্রিম কোর্ট যদি এই মামলা ডিসমিস করে দেবে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের জয় হবেই। বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতাও মিলবে কেন্দ্রীয় হারে। সরকার এভাবে দিনের পর দিন পালাতে পারে না দায়িত্ব থেকে।' 

Advertisement

আরও পড়ুন : 'ডিএ পাওয়ার পথ প্রশস্ত হচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের', মিলবে শিগগিরই ?

 কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের শর্টনোট তৈরি আছে। আমাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও আশাবাদী মামলা ডিসমিস হওয়ার বিষয়ে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই আমরা তাকিয়ে আছি। আর দেশজুড়ে AICPI অনুসারে ডিএ পান সরকারি কর্মীরা। আমাদের রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমাদের মনে হয়।' 

আরও পড়ুন : 'ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি', ভরা এজলাসে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বরের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিং ভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, এই মুহুর্তে ডিএ বাবদ বকেয়া ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এটা রাজ্যের কাছে বিপুল আর্থিক বোঝা। এই টাকা মেটালে রাজ্যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। রাজ্য সরকার বারবার ডিএ মেটাচ্ছে। এমনটা নয় যে, ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। এবং এখনও পর্যন্ত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশমতো সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বছরে দু'বার এরিয়ার-সহ ডিএ দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে। সেটা কখনই সম্ভব নয়।    

তার পাল্টা যুক্তি দেন কর্মচারী সংগঠনগুলির পক্ষে মীনাক্ষী আরোরা। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানান,১২৫ শতাংশ দেওয়া হয়েছে বলে যে দাবি রাজ্য করছে তা অস্বীকার করছেন না। রাজ্য সরকারি কর্মচারী বছরে দু'বা ডিএ চাইছেন, এমনটাও নয়। ডিএ-র ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার্স ইনডেক্স মেনে চলা হয়। সেক্ষেত্রে যদি অল ইন্ডিয়া কনজিউমার্স ইনডেক্স বছরে দু'বার পরিমার্জন করা হয়, সেক্ষেত্রে বছরে দু'বার ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। সেটাই স্বাভাবিক। 

তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার এই মামলায় বারবার হেরেছে। হাইকোর্ট ও স্যাট নির্দেশ দিয়েছে বকেয়া মেটাতে। অথচ সরকার তা বাস্তবায়িত করছে না। রাজ্য সরকার খামখেয়ালিপনা করছে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে। তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়। সরকার দাবি করছে তারা ডিএ দিচ্ছে। কিন্তু, কোন নিয়ম মেনে দিচ্ছে বা দিয়েছে সেই অবস্থান পরিষ্কার নয়। আর সব রাজ্যের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন।
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement