ডিএ (Dearness Allownce)নিয়ে বড় আপডেট। শুক্রবার মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (West Bengal DA)। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সেই বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার এমনভাবে জারি করেছে, যা থেকে মনে হচ্ছে ৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে সরকার। তাই তাঁদের তরফে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হবে যেন ৬ শতাংশ ডিএ-এর বিল করা হয়।
আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, মার্চ মাসের যে বিল সরকারি কর্মী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের কাছে আসবে সেখানে যেন মোট ৯ শতাংশ ডিএ-র উল্লেখ থাকে। তাঁদের দাবি, সরকার শুক্রবার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেই মোতাবেক ৬ শতাংশ ডিএ ও আগের ৩ শতাংশ, এই হিসেবে যেন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। চিঠিতে সেই আবেদন জানানো হবে।
এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়র ভাস্কর ঘোষ জানান, অর্থ দফতর DA-র যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেই মোতাবেক ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মর্মেই আমাদের তরফে চিঠি দেওয়া হবে। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে যে রাজ্য সরকার ৬ শতাংশ ডিএ দেবে এবার।'
আরও পড়ুন : ডিএ-র কর্মবিরতির মধ্যেই সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
যদিও নবান্ন সূত্রে খবর,বেসিক বেতনের উপর ৩ শতাংশ হারে DA আগে থেকেই পাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এর সঙ্গে যুক্ত হল আর বাড়তি ৩ শতাংশ। ফলে মার্চ মাস থেকে সরকারি সমস্ত কর্মী ও পেনশনভোগীরা মূল বা বেসিক বেতনের উপর ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন
৬ না ৩ শতাংশ ডিএ-কী এই বিতর্ক ?
আসলে রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেখানে উল্লেখ, মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ৬ শতাংশ ডিএ কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তির এই বয়ান নিয়েই আপত্তি সরকারি কর্মীদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, অর্থ দফতর DA দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি এমনভাবে জারি করেছে, যে দেখে মনে হবে ৬ শতাংশ হারে DA বাড়ানো হল। কিন্তু, আদতে সেটা নয়। ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী ২০২১ সালেই সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ DA বাড়ানো হয়। এবার আরও ৩ শতাংশ DA বাড়ানো হল এবং আগের DA-র সঙ্গে মিলিয়েই সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা মোট ৬ শতাংশ DA পাবেন।
এদিকে শিক্ষকদের একাংশের আবার দাবি, ৩ শতাংশ ডিএ তাঁরা প্রত্যাখান করতে চান। মার্চে সরকার যে বিল দেবে, সেখানে সেই ডিএ প্রত্যাখানের যেন ব্যবস্থা থাকে। এই নিয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির স্বপন মণ্ডল জানান, 'সরকারকে এই নিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। যাতে আমরা ডিএ প্রত্যাখান করতে পারি সেই ব্যবস্থা যেন থাকে। মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ আমরা নিতে চাই না। সেটা আগেও পরিষ্কার করে জানিয়েছি। অনেকেই নেবেন না। তবে তাঁরা যেন নিতে না পারেন সেই অপশন সরকারকে রাখতে হবে।'