চলতি মাসেই বৈঠকে বসতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO)। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর সুদের হার নির্ধারণ করা হতে পারে ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর সত্যি হলে পিএফ অ্যাকাউন্টধারকরা ধাক্কা খেতে পারেন! কারণ পিএফের সুদের হার কমার জোরালো সম্ভাবনা। বর্তমান আর্থিক বছরে পিএফ-এর উপর ৮.১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে সরকার। যা ৪৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বলে রাখি, ১৯৭৭- ৭৮ সালে EPFO ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছিল। কিন্তু তার পর থেকে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে ৮.২৫ শতাংশ বা তার বেশি থেকেছে।
কতটা সুদ কমানো হতে পারে?
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী,পিএফে সুদের হার ৮.১ শতাংশ বা কমিয়ে ৮ শতাংশ করতে পারে EPFO। বর্তমানে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত। ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করে ইপিএফও। সেই লাভের উপর নির্ভর করে সুদের হার। অ্যাকাউন্টধারকের টাকাই বিনিয়োগ করা হয়। এই বিনিয়োগ থেকে আয়ের একটি অংশ সুদের আকারে পিএফ সদস্যদের দেওয়া হয়।
একটি সংবাদ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছিলেন, পিএফে এখন যা সুদ পাওয়া যায় তা পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প এবং ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে বেশি। ফলে সরকার কি সুদের হার আরও কমাতে পারে তারই ইঙ্গিত দিলেন ভূপেন্দ্র,তুঙ্গে জল্পনা।
সুদের হার কীভাবে নির্ধারণ?
বর্তমানে ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগই ঋণ সংক্রান্ত প্রকল্পে করে ইপিএফও৷ এর মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ডও রয়েছে। বাকি ১৫ শতাংশ ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা হয়। ঋণ এবং ইক্যুইটি থেকে উপার্জনের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ সালে ইপিএফও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ শুরু করে। প্রথম বছরে অর্জিত টাকার ৫ শতাংশ, তার পরে ১০ শতাংশ এবং পরবর্তীতে ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়।
সরকারি তথ্য অনুসারে,১.৭ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে EPFO। সাধারণভাবে, নিফটি এবং সেনসেক্স উভয় প্ল্যাটফর্মে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETFs) আকারে ইক্যুইটিতে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ইপিএফও-র।
কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল সংস্থা (EPFO) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫২ সালে। তখন পিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের হার ছিল ৩ শতাংশ, তার পর থেকে তা বাড়তে থাকে। একটা সময় ১২ শতাংশ সুদ মিলত।
২০১৫ সাল থেকে সুদের হার
২০১৫-১৬ ৮.৮০%
২০১৬-১৭ ৮.৬৫%
২০১৭-১৮ ৮.৫৫%
২০১৮-১৯ ৮.৬৫%
২০১৯-২০ ৮.৫০%
২০২০-২১ ৮.৫০%
২০২১-২২ ৮.১০%