ব্যবসা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিশ্বের চতুর্থ তথা এশিয়ার ধনীতম শিল্পপতি গৌতম আদানি। সদ্য সিমেন্টক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে আদানি। এবার সিমেন্ট শিল্পে আধিপত্য বাড়াতে চাইছে তারা। তাদের সাম্রাজ্যে যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি সিমেন্ট সংস্থা। এখনও ব্যবসায়িক দর কষাকষি চলছে বলে খবর।
দুই সংস্থা অম্বুজা ও এসিসি কিনে সিমেন্ট ব্যবসায় পা দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এবার তাদের নজর জেপি সিমেন্টের দিকে। ব্লুমবার্গের মতে,ঋণগ্রস্ত জয়প্রকাশ পাওয়ার ভেঞ্চারস লিমিটেডের সিমেন্ট ব্যবসা কেনার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০৬ মিলিয়ন ডলারে (৪,৯৯২ কোটি টাকার বেশি) চুক্তি সম্পন্ন করতে চাইছে আদানি। এর আওতায় কারখানা কেনা-সহ একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। অম্বুজা বা এসিসি-র মাধ্যমেই হবে এই অধিগ্রহণ। এই চুক্তির বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের বোর্ড কোম্পানির ঋণের
ভার কমাতে সিমেন্ট ব্যবসা বিক্রি সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে। জয়প্রকাশ পাওয়ার ভেঞ্চারস সূত্রে খবর,নিগ্রি সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং ইউনিট এবং অন্যান্য নন-কোর অ্যাসেট বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বছরের মে মাসে ১০.৫ বিলিয়ন ডলারে (৮১,৩৬১ কোটি টাকা) সুইস ফার্ম হোলসিমের ভারতীয় ব্যবসা কিনেছে আদানি গোষ্ঠী। অম্বুজা সিমেন্টে ৬৩.১৯ শতাংশ এবং এসিসি-তে ৪.৪৮ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল হোলসিমের। অম্বুজা সিমেন্টে ৬৩.১৫ শতাংশ এবং ACC-তে ৫৬.৬৯ শতাংশ (অম্বুজা সিমেন্টের মাধ্যমে ৫০.০৫ শতাংশ) শেয়ার রয়েছে আদানির। দুই সংস্থার সম্মিলিত ক্ষমতা বার্ষিক ৬৬ মিলিয়ন টন। ভারতের সিমেন্ট সেক্টরে দ্বিতীয় বৃহত্তম খেলোয়াড় এখন আদানিই। সিমেন্টের ব্যবসা সামলাচ্ছেন আদানির বড় ছেলে করণ। এসিসি ও অম্বুজা সিমেন্টের বোর্ডের নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক-অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে ত্রয়ীর নোবেল