আগামী ডিসেম্বর থেকে আদানি গোষ্ঠীর আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার একটি ১৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পড়শি দেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে আদানি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে এসেছেন। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করার কথা বলেছেন। আদানি পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ পাঠাবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর গৌতম আদানি জানিয়েছেন,তাঁর সংস্থা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বাংলাদেশে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর আদানি টুইট করেছেন,'১৬০০ মেগাওয়াট গোড্ডা বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২-এ বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ পাঠানো হবে।'
দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা জলবণ্টনের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। এ বারও তিস্তা নিয়ে মোদী ও হাসিনার বৈঠকে সমাধানসূত্র মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বাংলার স্বার্থরক্ষার পক্ষে। এ দিন হাসিনা জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। যাবতীয় সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে এ দিন ৭টি মউ স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন-সহ আরও ৬টি বিষয় রয়েছে। বাংলাদেশের রেল,বিচার ব্যবস্থা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরমাণু ক্ষেত্র নিয়ে মউ সই করেছে দুই দেশ।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,'ভারত বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর উপর নির্ভর করে দুই দেশের অর্থনীতি। স্থানীয়দের জীবন যাপনও নির্ভরশীল। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন নিয়ে দু'দেশের সমঝোতায় উপকৃত হবে বাংলাদেশে সিলেট অঞ্চল এবং ভারতের দক্ষিণ অসম।
আরও পড়ুন- এই কোম্পানির জন্য আদানির চেয়েও বেশি দর হাঁকলেন আম্বানি, আসরে কেন্দ্রও