২ হাজার টাকা নিয়ে নির্দেশিকা জারির পরই সাধারণ মানুষ সোনার দোকানমুখী। সোনার দোকানগুলিতে যেন রাতারাতি ভিড় বেড়ে গেছে। কলকাতা, মুম্বই, ব্যঙ্গালোর, দিল্লির মতো শহরে সোনা কেনার হিড়িক বেড়েছে। এরই মধ্যে সুখবর। কমে গেল সোনার দাম।
সোমবার সোনা-রুপোর দাম অনেকটাই কমেছেয। দেশীয় ফিউচার মার্কেট অর্থাৎ MCX-এ সোনার দাম প্রায় ১০০ টাকা কম হয়েছে। পতনের কারণে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম ৬০২৯০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। একইভাবে রুপোর দামও প্রায় ৪০০ টাকা কমেছে। MCX-এ এক কেজি রুপোর দাম ৭২ হাজার টাকার সামান্য বেশি।
আরও পড়ুন : 'টিফিন টাইমে ওয়াশরুমও যেতে পারবেন না রাজ্যের সরকারি কর্মীরা?'
আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনা ও রুপার দাম কমেছে। কম্যাক্সে সোনার দাম সামান্য পতনের সাথে প্রতি আউন্স $১৯৮০ রয়েছে। কম্যাক্সে সামান্য পতনের সাথে রুপোও ২৪ ডলারের নিচে নেমেছে। এর দাম আউন্স প্রতি $ ২৩.৯০ এ ট্রেড করছে। কম্যাক্সের উপর নরম হওয়ার কারণ হল ইউএস ফেড মিটিং এবং ঋণের সীমা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালেও নোটবন্দীর সময় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পর অনেকে সেই নোটের বিনিময়ে সোনা কিনেছিলেন। এবারেও সেই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। কেননা করের আওতায় আসা ব্যক্তিদের অনেকেই ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ টাকার বিপুল অঙ্কের নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার পর আয়কর দফতরের নোটিশ পেয়েছেন। তাই এবার তাঁরা আর ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন না। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এখন সোনা কেনার হিড়িক।
এদিকে সোনার দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। তাঁদের আশা চলতি সপ্তাহে আরও দাম কমবে। যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ২০০০ টাকা নোটের সঙ্গে সোনার দামের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন : Sourav Ganguly : সর্বক্ষণ নিরাপত্তারক্ষী-এসকর্ট কার, কেন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল সৌরভকে ?
সোনার কেনার হিড়িক সব থেকে বেশি বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। ২০০০ টাকার নোট বন্ধ হওয়ার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই সোনার বাজারে খুব দ্রুত গতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোট জমা করার থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই সোনা কিনতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কিনতে পারছেন না। আসলে দিল্লির সবচেয়ে বড় সরোফা বাজার কুচা মহাজনি ধুলিয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ২০০০ টাকার নোট বন্ধ হওয়ার খবরে সবাই ওই টাকা ব্যবহার করে সোনা কিনতে চাইছেন।