গত তিন বছরে ভারতীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সফল ইউটিউবারদের ইনকামও। ইউটিউব মারফত গত ৩ বছরে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন ভারতীয় ক্রিয়েটররা। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে গুগল। ফলে ইউটিউব যে শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি যে দেশের অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব ফেলছে, তা বলাই বাহুল্য। শুধু জনপ্রিয় নয়, মাঝারি ও ছোট ইউটিউবাররাও ভিডিও বানিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
ভারতের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গত কয়েক বছরে দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের বড় অংশ আজ ইউটিউবকে শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, আয়ের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করছে। গেমিং, টেকনোলজি, মিউজিক, ভ্লগিং কিংবা শিক্ষামূলক কনটেন্ট; সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় নির্মাতারা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ইউটিউবের বিশাল দর্শকসংখ্যা এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের শেয়ারিং মডেল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগলের এই বিশাল অঙ্কের অর্থপ্রদান ভারতীয় ক্রিয়েটর ইকোনমিকে আরও শক্তিশালী করবে। অনলাইন কনটেন্ট তৈরি ও আপলোড করার ক্ষেত্রে যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তা আগামী দিনে আরও অনেক নতুন প্রতিভাকে এই প্ল্যাটফর্মে টেনে আনবে। একই সঙ্গে, বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্যও ভারতীয় ইউটিউব মার্কেট একটি লাভজনক ক্ষেত্র হয়ে উঠবে।
তবে শুধু অর্থ উপার্জন নয়, দায়িত্বশীল কনটেন্ট তৈরির দিকেও নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ দর্শকদের আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য নির্ভর করে মানসম্মত ও তথ্যসমৃদ্ধ কনটেন্টের ওপর।
অর্থাৎ, গুগলের এই ঘোষণা প্রমাণ করছে যে ইউটিউব শুধু বিনোদন নয়, ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন এটি একটি লোভনীয় ক্যারিয়ারের পথও খুলে দিচ্ছে।