যতটা দেরি হবে বলে মনে হচ্ছিল, ততটাও সময় লাগছে না। আগামী ৭ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে ভারত। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) তাদের একটি গবেষণাপত্রে এমন দাবিই করা হয়েছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। ব্রিটেনকে সরিয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করে নিয়েছে এ দেশ। SBI-এর গবেষণাপত্র বলছে,২০১৪ সাল থেকে ইতিবাচক বদলের কারণে এখানে পৌঁছতে পেরেছে ভারত। ২০২১ সালের গোড়ায় ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছিল ভারত।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অর্থনৈতিক গবেষণা সংক্রান্ত বিভাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে,দুনিয়ার জিডিপিতে ভারতের অংশ ৩.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা ছিল ২.৬ শতাংশ। ২০২৭ সালের মধ্যে তা ৪ শতাংশে পৌঁছতে পারে। বলে রাখি, বর্তমানে বিশ্বের জিডিপিতে জার্মানির অংশ ৪ শতাংশ।
২০১৪ সাল থেকে ভারত যে পথ ধরেছে তা দেশের অর্থনীতিকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে গিয়েছে। এই পথে চলতে পারলে ২০২৯ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে পারে ভারত। বলে রাখি, ২০১৪ সালে ভারতের স্থান ছিল দশম। তার পর থেকে ৮ বছরে ভারত পাঁচ ধার উপরে উঠেছে।
রিপোর্ট বলছে, ২০২৭ সালে জার্মানিকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। বর্তমান বৃদ্ধির হারে ২০২৯ সালে টপকে যাবে জাপানকে। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী,২০২২ সালের জুন ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতি ১৩.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে গোটা বিশ্বে ভারতীয় অর্থনীতি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।
২০২৩ সালের আর্থিক বছরের জন্য ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার অনুমান করা হয়েছে ৬.৭ শতাংশ থেকে ৭.৭ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্ব অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ৬ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি 'নিউ নর্মাল' হতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চিনের গতি কমায় অর্থনৈতিক উন্নতিতে সুবিধা পেতে পারে ভারত।
ভারত ও ব্রিটেনের অর্থনীতিকে ডলারের হিসাবে তুলনা করে দেখা যায়,IMF-এর তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি ছিল $৮৫৪.৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে $৮১৬ বিলিয়ন ছিল ব্রিটেনের অর্থনীতি। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা ও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে মোদীর ভারত।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর 'সুপ্রিম' ধাক্কা, নন্দীগ্রাম গণনা মামলার আর্জি খারিজ