গঙ্গার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গপথে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে কলকাতা। সৌজন্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। শুধু রেলপথই নয় এবার গঙ্গার তলায় সড়কপথও নির্মিত হতে চলেছে। আর তা হবে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি কর্মসূচির আওতায়। সোমবার একথা জানালেন কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের (পোর্টট্রাস্ট) চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।
দেশজুড়ে পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্প শুরু করেছে মোদী সরকার। এই প্রকল্পে পরিকাঠামো খাতে বাজেটে বিশাল বিনিয়োগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়ে দিয়েছেন,পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগে গড়ে উঠবে দীর্ঘকালীন সম্পত্তি। সেই সঙ্গে রয়েছে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। ওই প্রকল্পের আওতায় গঙ্গার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গপথ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। বিনীত কুমার জানান, প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি কর্মসূচিতে পরস্পর সংযোগকারী ও নির্বাধায় যান চলাচলের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা বন্দর। রেল ও সড়কপথের সংযোগ করা হবে।
কলকাতার বাণিজ্যিক এলাকার সঙ্গে হাওড়ার যোগাযোগ স্থাপন করে হাওড়ার রবীন্দ্র ও হুগলির বিদ্যাসাগর সেতু। বালিতে রয়েছে দু'টি সেতু। ব্যস্ত সময়ে দুই সেতুর উপরে চাপ বাড়ছে। হাওড়া ব্রিজে যানজট লেগেই রয়েছে। এই অবস্থায় বিকল্প রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে হাওড়ায় মিশবে গঙ্গার তলা দিয়ে তৈরি সুড়ঙ্গ। পণ্য পরিবহণেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পণ্যবাহী গাড়ি ওই রাস্তায় দিয়ে সোজা উঠবে হাওড়ায় জাতীয় সড়কে। ফলে যান চলাচল আরও মসৃণ ও দ্রুতগামী হবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জলপথ যোগাযোগে গতি আনতে কলকাতা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে বলাগড়ে একটি রিভার টার্মিনাল গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে থাকবে জেটি। মালপত্র ওঠানামার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া প্রায় ১,৩৫০ কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের বহনক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিনীত কুমার জানান, কলকাতা বন্দরের খিদিরপুর ডকের অব্যবহারহার্য জমিতে ১৮০ কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়ন করা হচ্ছে। সেখানে অত্যাধুনিক ক্রেন বসিয়ে মালপত্র ওঠানামা করানো হবে।