Advertisement

সময়ে দিতে হবে মিনিমাম স্যালারি, দেশে চালু হল ঐতিহাসিক Labour Codes

নতুন বিধিগুলি শ্রমিকদের, বিশেষ করে অসাংগঠনিক ক্ষেত্রের কর্মী, প্রবাসী শ্রমিক এবং মহিলাদের যথোপযুক্ত মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করবে। জানিয়েছে শ্রমমন্ত্রক।

চালু হল শ্রম বিধিচালু হল শ্রম বিধি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 21 Nov 2025,
  • अपडेटेड 11:47 PM IST
  • দেশে চালু হল নয়া শ্রম বিধি।
  • লিঙ্গ সাম্য নিশ্চিত করা হয়েছে নতুন বিধিতে।

২১ নভেম্বর, শুক্রবার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। চারটি নতুন শ্রম বিধি চালু হল দেশে। আত্মনির্ভর ভারতের পথে এটা বড় পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে বাতিল হল কয়েক দশকের পুরনো জটিল এবং নানা ধরনের আইন। সরকার জানাল, নতুন ব্যবস্থার লক্ষ্য হল, একটি শক্তিশালী শ্রম কাঠামো তৈরি করা। এই বিধি শ্রমিকদের সুরক্ষা দেবে। সেই সঙ্গে তৈরি করবে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশও।

২৯টি পুরনো কেন্দ্রীয় শ্রম আইন বাতিল করে চারটি বিধি আনা হয়েছে।সেগুলি হল: ১। মজুরি বিধি (২০১৯) Code on Wages (2019) ২। শিল্প সম্পর্কিত কোড (২০২০) Industrial Relations Code (2020) ৩। সামাজিক সুরক্ষা বিধি (২০২০) Code on Social Security (2020) ৪। পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ বিধি সংক্রান্ত বিধি (২০২০) Occupational Safety, Health & Working Conditions (OSHWC) Code (2020)। 

শ্রম মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন বিধিগুলি শ্রমিকদের, বিশেষ করে অসাংগঠনিক ক্ষেত্রের কর্মী, প্রবাসী শ্রমিক এবং মহিলাদের যথোপযুক্ত মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করবে।

শ্রম বিধিতে কী কী বদল:

১. নিয়োগপত্র: এখন থেকে সব কর্মীকে কাজে যোগ দেওয়ার সময় নিয়োগপত্র দেওয়া আবশ্যিক।

২. ন্যূনতম মজুরি: দেশজুড়ে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন হবে। কম মজুরিতে কাজ করানো বন্ধ হবে। 

৩. সময়মতো মজুরি: নিয়োগকর্তাদের আইনত সময়মতো কর্মীদের বেতন দিতে হবে। 

৪. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা: ৪০ বছরের বেশি বয়সী সকল কর্মীর জন্য বিনামূল্যে বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। একটি জাতীয় OSH বোর্ড সুরক্ষার মানদণ্ডগুলি খতিয়ে দেখবে। 

৫. নারী সুরক্ষা: মহিলারা এখন রাতের শিফটে কাজ করতে পারবেন। যা আগে অনেক ক্ষেত্রে অনুমোদিত ছিল না। তবে নিয়োগকর্তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নিতে হবে সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্মীর অনুমতি। 

৬. অসংগঠিত কর্মীদের জন্য সুরক্ষা: গিগ কর্মী এবং প্ল্যাটফর্ম কর্মীরা প্রথমবারের মতো আইনি স্বীকৃতি পাবেন। তাঁরা পেনশন, বিমার মতো সামাজিক সুরক্ষা পাবেন। প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলিই সেই ব্যবস্থা করবে। 

Advertisement

৭. আইনের সরলীকরণ: একাধিক রেজিস্ট্রেশন দরকার হবে না। একটিই লাইসেন্স এবং একটি রিটার্ন মডেল থাকবে। 

বিরোধ মীমাংসার জন্য থাকবে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। সেখানে শ্রমিকরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। সরকারের দাবি, এই বিধিগুলি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা এবং সম্মানের সঙ্গে কাজের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে। সেই সঙ্গে জটিলতাও কমবে। বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে বিভিন্ন শিল্পে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেন,'শ্রম আইনে সংস্কার 'আত্মনির্ভর ভারতে'র লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ও শক্তিশালী দেশগঠনই লক্ষ্য। নতুন বিধিতে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মধ্যম শিল্পের (MSME) কর্মী, স্থায়ী কর্মচারী, চুক্তিবদ্ধ কর্মী এবং হাজার হাজার ছোটবড় শিল্পে নিযুক্ত ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত।

শ্রম মন্ত্রকের মতে, ভারতের সামাজিক নিরাপত্তা ২০১৫ সালে কর্মশক্তির প্রায় ১৯% থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৪% হয়েছে। আরও উন্নতি আশা করা হচ্ছে। নতুন বিধি কর্মক্ষেত্রে আরও মহিলার অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement