গতবছর আইপিএলে বিনিয়োগ করে লাভ ঘরে তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। নতুন বছরেও আসছে একাধিক বড় সংস্থা আইপিও। তবে আগ্রহের মধ্যমণি দেশের সবচেয়ে বড় বিমা সংস্থা এলআইসি (LIC)। অনেকেই মনে করছেন, প্রিমিয়াম-সহ এলআইসি-র শেয়ারমূল্য অনেকটা বেশি হতে পারে। এলআইসি আইপিও-র প্রস্তাবিত বাজার মূল্য ১১.৫ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে বলে খবর।
আরআইএল-টিসিএস-র পরে
১১.৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্য় হলে মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও টিসিএস-র পর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সংস্থা হতে চলেছে এলআইসি। বাজারে রিলায়েন্সের শেয়ারমূল্য ১৬ লক্ষ কোটি এবং টিসিএস-র ১৩.৮ লক্ষ কোটি টাকা। এলআইসি আইপিও নিয়ে সরকার সাবধানী অবস্থান নিলেও তা রিলায়েন্স ও টিসিএসের পরেই থাকতে চলেছে।
সাবধানী মূল্য
যদিও এলআইসি নিয়ে অতিরিক্ত চালিয়ে খেলার পক্ষপাতী নয় সরকার। তারা মোট শেয়ারের মূল্য অনেকটাই কম রাখতে চলেছে। ১০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি থাকতে পারে শেয়ারের বাজারমূল্য। কারণ তাদের যে তহবিলগুলি রয়েছে সেগুলি ততটা লাভজনক নয়। তার মধ্যে রয়েছে গ্যারান্টি রিটার্ন প্ল্যান, গ্রুপ ইনস্যুরেন্স প্ল্যান, কর্মচারীদের রিটায়ারমেন্ট ফান্ড। তা হলেও শেয়ার মূল্যের নিরিখে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সংস্থা হতে চলেছে এলআইসি।
বিমাগ্রাহকদের সুযোগ
বিমা গ্রাহকদের জন্য ছাড়ে শেয়ার কেনার সুযোগ দেবে এলআইসি। সংস্থা চায়, বিমা গ্রাহকরা শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহ দেখান। তাতে লাভের বণ্টনে সুবিধা হবে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা মিলিম্যান ইতিমধ্যেই এলআইসি-র মূল্য সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই আইপিও-র দর ঠিক করা হবে।
নতুন বছরেও আইপিও ধামাল
বলে রাখি, ভারতের আইপিও ইতিহাসে ২০২১ সাল ঐতিহাসিক হয়ে গিয়েছে। ৬৫ সংস্থা আইপিও-র মাধ্যমে বাজার থেকে ১.৩ লক্ষ কোটি টাকা তুলেছে। ২০২২-এও অপেক্ষা করে রয়েছে বিনিয়োগের দুর্দান্ত সুযোগ। ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি টাকা বাজার থেকে তুলতে পারে নতুন বছরের আইপিও-গুলি।