লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC)-র IPO চালু হতে চলেছে ৪ মে। খুচরা বিনিয়োগকারীরা এই আইপিওতে ৯ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। সরকার আশা করছে খুচরা বিনিয়োগকারীরা এই আইপিওতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। মনে করা হচ্ছে, এই বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগই তাঁরা হবেন যাঁরা প্রথমবার আইপিওতে অর্থ বিনিয়োগ করছেন। এলআইসি আইপিওর প্রাইস ব্যান্ড শেয়ার প্রতি ৯০২ থেকে ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
LIC IPO-র জন্য আবেদন করার সময়, বিনিয়োগকারীরা বিভাগ নির্বাচন করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন, বিশেষত যাঁরা প্রথমবার আইপিওর জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন তাঁরা। কারণ এই আইপিওতে (Investor Typ) আবেদন করার সময় বিনিয়োগকারী তিনটি অপশান পাবেন।
LIC IPO-তে বিনিয়োগের পদ্ধতি
চলুন জেনে নেওয়া যাক LIC IPO-তে বিনিয়োগ করার সহজ উপায়গুলি। এর ফলে বিনিয়োগকারী মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সঠিক বিভাগ নির্বাচন করে IPO-তে আবেদন করতে পারবেন৷ বিনিয়োগকারী যেকোনও আইপিওর জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে তার জন্য একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
কেউ যখন কোনও ব্রোকারেজ হাউসের (Brokerage House) ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে LIC আইপিও-র জন্য আবেদন করবেন, তখন বিভাগ বেছে নেওয়ার সময় তিনটি বিকল্প পাবেন।
1. New
2. Policyholder
3. Employee
প্রথম বিকল্প
বিনিয়োগকারী যদি LIC-র পলিসি নিয়ে থাকেন, অর্থাৎ LIC-র পলিসি হোল্ডার হন, তাহলে তাঁকে পলিসি হোল্ডার ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে। এই বিভাগটি বেছে নেওয়ার মাধ্যমে, LIC IPO-তে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাওয়া যাবে। তাছাড়া পলিসি হোল্ডারদের জন্য আইপিওতে শেয়ার প্রতি ৬০ টাকা ছাড় থাকবে। বিনিয়োগকারী যদি পলিসি হোল্ডার কোটা থেকে আইপিওতে আবেদন করেন, তাহলে উপরের প্রাইস ব্যান্ড অনুযায়ী ৯৪৯-৬০=৮৮৯×১৫=১৩,৩৩৫ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
দ্বিতীয় বিকল্প
কেউ যদি LIC-র কর্মচারী হন, তাহলে তাঁকে Employee ক্যাটাগরিতে ক্লিক করতে হবে। LIC কর্মীরা এই IPO-তে আবেদন করলে শেয়ার প্রতি ৪৫ টাকা ছাড় পাবেন। আপার প্রাইস ব্যান্ড অনুযায়ী, একটি লটে আবেদনের জন্য তাঁকে ১৩,৫৬০ টাকা দিতে হবে।
তৃতীয় বিকল্প
যদি কেউ LIC-র পলিসি হোল্ডার বা কর্মচারী না হন, তাহলে তাঁকে New বিভাগে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওপরের মূল্য অনুযায়ী তাঁকে মোট ১৪,২৩৫ টাকা দিতে হবে।
এই আইপিওর মাধ্যমে সরকার ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ২১ হাজার কোটি টাকা তুলতে চলেছে। এটিই হতে চলেছে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আইপিও। সরকার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিনিয়োগ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন - একুশের রেজাল্টের বর্ষপূর্তি, সে দিনের যে ৫ ঘটনা স্মরণীয়