Multibagger Stock Hazoor Multi Project Share: স্টক মার্কেটকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ওঠানামা করা ব্যবসা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে যারা এতে বিনিয়োগ করেন তাদের জন্য কিছু বা অন্য স্টক এমন প্রমাণিত হয় যে এটি তাদের ভাগ্য খুলে দেয়। এই শেয়ারগুলির মধ্যে অনেকগুলি দীর্ঘমেয়াদে মাল্টিব্যাগার রিটার্ন দেয়, আবার অনেকগুলি বিনিয়োগকারীদের অল্প সময়ের মধ্যে ধনী করে তোলে। পরিকাঠামো এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হাজুর মাল্টি প্রজেক্টস লিমিটেড (হাজুর মাল্টি প্রজেক্টস শেয়ার) এর শেয়ারগুলিও এর মধ্যে একটি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা অর্থ বিনিয়োগ করেছেন মাত্র 5 বছরে কোটিপতি (ক্রোরেপতি শেয়ার) হয়েছেন।
১ টাকার শেয়ারের দাম ৪০৫ টাকা অতিক্রম করেছে
সরকার পরিকাঠামোর ওপর জোর দিয়েছে এবং এ খাতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এ কারণে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং এতে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারীরাও ধনী হচ্ছে। হাজুর মাল্টি প্রজেক্টস লিমিটেডের শেয়ারের বিষয়ে কথা বলতে গেলে, এই অবকাঠামোগত স্টকটি গত ৫ বছরে মাল্টিব্যাগার রিটার্ন দিয়েছে এবং এর বিনিয়োগকারীদের কোটিপতি করেছে। এপ্রিল ২০১৯-এ এই স্টকে মাত্র ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারীদের পরিমাণ এখন প্রায় ৩.৫ কোটি টাকায় বেড়ে যাবে।
প্রকৃতপক্ষে, ১২ এপ্রিল, ২০১৯-এ, হুজুর মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেডের একটি শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১.১৩ টাকা, যা মঙ্গলবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় ৪০৫.০৫ টাকায় পৌঁছেছিল। সেই অনুযায়ী, ৫ বছরের এই সময়ে এই স্টকটি বিনিয়োগকারীদের ৩৫,৭৪৫.১৩ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
সাত দিন ধরে চলল আপার সার্কিট
৯ এপ্রিল, ২০২৪ মঙ্গলবার স্টক মার্কেট বন্ধ হওয়ার সময়, হাজুর মাল্টি প্রজেক্ট শেয়ার ৪.৯৯ শতাংশের আপার সার্কিটের সঙ্গে বন্ধ হয়েছিল৷ এই স্টকটি টানা সাত দিন ধরে আপার সার্কিট অনুভব করছে৷ নতুন আর্থিক বছর FY২৫ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, উপরের সার্কিট ইনস্টলেশন শুরু হয়েছিল এবং এটি মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই সময়ের মধ্যে, এই ৭ দিনে স্টক প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৮ মার্চ এর দাম ছিল ২৮৮ টাকা।
মাত্র ৬ মাসে তিনগুণ
আমরা যদি হুজুর মাল্টি প্রজেক্টের স্টকটির পারফরম্যান্স দেখি, স্বল্প সময়ের মধ্যেও এই স্টকটি একটি মুলিব্যাগার স্টক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। ৭৫৫.৮২ কোটি টাকার বাজার মূলধনের এই কোম্পানির শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারীরা মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে ২২৩.৩৯ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন। অর্থাৎ ছয় মাসে বিনিয়োগকারীদের টাকা তিনগুণ বেড়েছে। গত এক বছরে ৩২১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে কোম্পানিটি।
(দ্রষ্টব্য- স্টক মার্কেটে কোন বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই আপনার মার্কেট এক্সপার্টের পরামর্শ নিন।)