পেনশনারদের জন্য বড় খবর। প্রত্যেক চাকরিজীবী আশা করেন যে, অবসর গ্রহণের পর তাঁদের বাকি জীবনটা সুখে ও শান্তিতে কাটবে। তাঁদের যেন অর্থনৈতিক অসুবিধেয় পড়তে না হয়। সেই কারণে কর্মচারীরা তাঁদের বেতনের একটি অংশ ভবিষ্যতের বিনিয়োগের জন্য আলাদা করে রাখে।
বিনিয়োগের জন্য সরকারের নানা প্রকল্পও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল পেনশন স্কিম বা NPS। এই প্রকল্পের জন্য বড় খবর। অবসর গ্রহণের পর এই প্রকল্পে এবার থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবেন পেনশনভোগীরা। শুধু তাই নয়, যাঁরা এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন তাঁরা করছাড়ও (Tax Exemption) পাবেন । NPS-এ একজন বিনিয়োগকারী ধারা ৮০-C-র অধীনে প্রাপ্ত ফেরত ছাড়াও তাঁদের করযোগ্য আয় থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন।
NPS-কে ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। আপনি আপনার কাজের বছর জুড়ে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাহলে অবসর গ্রহণের পরই মোটা টাকা হাতে পেতে শুরু করবেন প্রতি মাসে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, বিনিয়োগকারীর কাছে তাদের NPS তহবিল তোলার জন্যও কয়েকটি বিকল্প রয়েছে।
প্রথমটি হল আপনি যে কোনও মুহূর্তে আপনার মোট বিনিয়োগের একটি অংশ অ্যাক্সেস করতে পারবেন। বাকিটা সরাসরি আপনার পেনশন তহবিলে যাবে। এই অর্থ একটি বার্ষিক ক্রয় করতে ব্যবহার করা হবে। আপনি যখন অবসর গ্রহণ করবেন, তখন আপনার পেনশন হবে একটি বার্ষিকী কেনার জন্য যে পরিমাণ অর্থ রেখে যান তার সমানুপাতিক।
কীভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন?
এই ৫০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পাওয়ার জন্য আপনাকে পরিকল্পনামাফিক এগোতে হবে। ধরা যাক আপনার যখন ২৪ বছর বয়স, তখন থেকে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। অর্থাৎ NPS-এ আপনি প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা দিচ্ছেন। মানে আপনাকে প্রতি মাসে ২০০ টাকা বাঁচাতে হবে। এভাবে ৩৬ বছর আপনি সঞ্চয় করতে পারেন। তাহলেই ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর মাসিক ৫০ হাজার টাকা পাবেন।