২০১৪ সালের কর্মচারীদের পেনশন (সংশোধন) প্রকল্প নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৪ সালের কর্মচারীদের পেনশন (সংশোধনী) প্রকল্পকে 'আইনি এবং বৈধ' বলে অভিহিত করেছে। এর ফলে সরকারি কর্মীরা স্বস্তি পেয়েছেন। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যে সব কর্মচারীরা এখনও কর্মচারী পেনশন প্রকল্পে যোগদানের বিকল্প ব্যবহার করেননি, তাঁদের আরও ৬ মাস সময় দেওয়া উচিত।
মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট পেনশন তহবিলে যোগদানের জন্য ১৫, ০০০ টাকার মাসিক বেতনের সীমাও বাতিল করেছে। ২০১৪ সালের সংশোধনীতে, সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতনের সীমা (মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা সহ) প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সংশোধনের আগে সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতন ছিল প্রতি মাসে ৬ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন : West Bengal DA : বকেয়া ডিএ মেটাতে খরচ হবে ২৫ হাজার কোটি, রাজ্য সরকার দিতে পারবে?
পেনশন স্কিমে যোগ দিতে ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে
প্রধান বিচারপতি U.U. ললিত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া জানান, যে কর্মচারীরা পেনশন স্কিমে যোগদানের বিকল্প ব্যবহার করেননি, তাঁদের ছয় মাসের মধ্যে তা করতে হবে। বেঞ্চ এও জানিয়েছে,যোগ্য কর্মচারীরা যাঁরা শেষ তারিখের মধ্যে স্কিমে যোগ দিতে পারেনি তাঁদের একটি অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ কেরল, রাজস্থান এবং দিল্লির হাইকোর্টের রায়গুলিতে এই বিষয়ে স্পষ্টতার অভাব ছিল।
এই শর্তও অবৈধ ঘোষণা করা হয়
বেঞ্চ ২০১৪ সালের পরিকল্পনায় এই শর্তটিও বাতিল করেছে। যেখানে কর্মচারীদের ১৫ হাজার টাকার উপরে মজুরিতে ১.১৬ শতাংশ অতিরিক্ত অবদান রাখতে হবে। বেঞ্চ আরও বলেছে, সীমার বেশি বেতনে অতিরিক্ত অবদান রাখার শর্তটি স্বেচ্ছায় হবে। তবে এও জানিয়েছে, কর্মকর্তাদের তহবিল তৈরি করতে সক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্তের এই অংশটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে।
বিতর্ক আসলে কী নিয়ে?
বিতর্কটি মূলত EPS-১৯৯৫ এর ১১ ধারায় করা বিতর্কিত সংশোধনী সংক্রান্ত। সংশোধনী চালু হওয়ার আগে, ১৬ নভেম্বর, ১৯৯৫-এ কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল স্কিম ১৯৫২-এর সদস্য হয়েছিলেন এমন প্রতিটি কর্মী EPS-এর সুবিধা পেতে পারেন। EPS-১৯৯৫-এর প্রাক-সংশোধিত সংস্করণে সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতনের সীমা ছিল ৬,৫০০ টাকা। যাইহোক, যে সদস্যদের বেতন এই সীমা ছাড়িয়ে গেছে তারা তাদের নিয়োগকর্তাদের সাথে তাদের প্রকৃত বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ অবদান রাখতে পারেন।