রাজ্যে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। ৪০ টাকায় বিকোচ্ছে চন্দ্রমুখী আলু। এক কেজি জ্যোতি আলুর দাম ৩০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে এবার হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সারাদিন হিমঘরে আলুর লেনদেন বন্ধ থাকল। সেই সঙ্গে বাজারে জোগানও কমল।
মঙ্গলবার সকাল হুগলি জেলা-সহ গোটা রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, হিমঘরে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। কর্মবিরতির জেরে হিমঘর থেকে কোনও আলু বের হয়নি। হুগলি ও বাঁকুড়া দিনভর বন্ধ ছিল আলুর লেনদেন। তারকেশ্বরের চাষিরাও সামি হয়েছিলেন ধর্মঘটে। একে বাজারে আলুর জোগান কম এবার দোসর কর্মবিরতি, নিঃসন্দেহে চাপ পড়বে বাজারে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, চলতি মরসুমে হিমঘরের ভাড়া যাতে না বাড়ানো হয় সেজন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তার পরেও সরকার হিমঘরের ভাড়া কুইন্ট্যাল প্রতি ১১ টাকা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমঘরের বৃদ্ধি ভাড়া পুনর্বিবেচনা করার আবেদনও করা হয়েছিল। তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় এবার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে একদিনের প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
চাষিরা জানাচ্ছেন, এবার খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য আলু চাষে ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছিল চারা। নতুন করে বীজ কিনে চাষ করতে হয়েছে। ফলন ভাল হয়নি। উল্টে চাষের খরচ বেড়েছে। প্রান্তিক চাষিরা আলু ফলাতেই পারেননি। সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ফেব্রুয়ারির অকাল বৃষ্টিতে। তাঁরা আর দ্বিতীয়বার চাষ করতে পারেননি। ফলে যে আলু ফলিয়েছেন চাষিরা তা চড়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরও পড়ুন- আটা, চাল, ডাল থেকে তেল-নুন... ১০ বছরে কতটা বাড়ল দাম?