চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ। যা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের চেয়ে অনেকটা কম। তবে গত আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের চেয়ে বেশি। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। আর গতবছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে মাত্র ০.৫ শতাংশ ছিল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) চেয়ে বৃদ্ধি কমেছে। তার কারণ ধাক্কা খেয়েছে কৃষি, খনিজ, উৎপাদন, পরিবহণ ও নির্মাণশিল্পের বৃদ্ধি। এমনকি তৃতীয় ত্রৈমাসিকে নির্মাণশিল্প সংকুচিত হয়েছে ২.৮ শতাংশ। অথচ দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি পেয়েছিল ৮.২ %। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দারুণ উচ্চতায় চলে গিয়েছিল জিডিপি। ২০.১ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে।
চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে আর এক মাস বাকি। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (National Statistical Office) বলছে, এই অর্থবর্ষে (২০২১-২২) ৮.৯ শতাংশ থাকতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার। জানুয়ারির আগে জিডিপি ৯.২ শতাংশে হতে পারে বলে মনে করেছিল কেন্দ্র। করোনার কারণে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে গত আর্থিক বছরে তা সংকুচিত হয়েছিল (-) ৬.৬ শতাংশ।
করোনার শঙ্কা কাটিয়ে টানা পঞ্চম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি শূন্যের উপরে থাকল। ২০২০-২১ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি সংকোচন হয়েছিল যথাক্রমে (-) ২৪.৪ ও (-) ৭.৪ শতাংশ। সেই সময় করোনার জন্য টানা লকডাউন ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে কলকারখানা, অফিসকাছারি, দোকান বন্ধ থাকায় অর্থনীতির চাকা থমকে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ।