RBI Digital Currency in India: RBI-এর ডিজিটাল মুদ্রা CBDC-র লেনদেন শুরু হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় হোলসেল পেমেন্ট ও সরকারি সিকিওরিটিজের লেনদেনে আপাতত এই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথম দিনই ব্যাপক সাড়া ফেলল RBI e-Rupee, ভারতের প্রথম ও নিজস্ব ডিজিটাল নোট। মঙ্গল সরকারি বন্ড ক্রয়বিক্রয়ে ৪৮টি লেনদেন হয়েছে e-Rupee-তে, যার আর্থিক পরিমাণ ২৭৫ কোটি টাকা।
ডিজিটাল মুদ্রা সুপারহিট
ভারতে আপাতত পাইলট প্রকল্পে Digital Currency-র ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সব লেনদেনেই ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহারের ছাড়পত্র মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতবাসীকে আর পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরতে হবে না। মোবাইল ওয়ালেটে ডিজিটাল কারেন্সি থাকলেই হবে। শুরুতে যে ৯ ব্যাঙ্ককে Digital Currency ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, স্টেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, HDFC ব্যাঙ্ক, ICICI ব্যাঙ্ক, কোটক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, IDFC ও HSBC ব্যাঙ্ক। প্রথম দিনই ২৭৫ কোটি টাকার লেনদেন হল Digital Currency ব্যবহার করে।
CBDC কীভাবে কাজ করবে?
কোনও ব্যাঙ্ক যদি RBI-এর ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে, তবে ব্যাঙ্কের একটি CBDC অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই অ্যাকাউন্টের দেখভাল করবে RBI। ব্যাঙ্ককে প্রথমে টাকা ওই CBDC অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে। যেমন কোনও ব্যাঙ্ক যদি অন্য ব্যাঙ্ককে ডিজিটাল মুদ্রা ট্রান্সফার করে, তবে তা প্রথমে CBDC অ্যাকাউন্টে ফেলতে হবে। ওই একই দিনে CBDC অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Budget 2022: Cryptocurrency নিয়ে বড় ঘোষণা! ডিজিটাল মুদ্রায় আয়ে দিতে হবে ৩০% ট্যাক্স
ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধা কী
CBDS হল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের চলতি মুদ্রারই ডিজিটাল ভার্সান। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রার কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, নোট বদলানোর পরিবর্তে বর্তমানে চালু নোটগুলিরই পরিপূরক হবে ডিজিটাল মুদ্রা। অর্থাত্ বিকল্প টাকা।