Advertisement

Mid Day Meal: বাংলায় মিড ডে মিল সঙ্কটে স্কুলগুলি, বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

৮৩,৯৪৫টি স্কুলে পড়ুাশুনো করছে ১,১৫,৮২৬৫৮ পড়ুয়া। প্রতিদিন বিনামূল্যে দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়। ২ বছরের বিরতির পরে দু'মাস আগে আবার চালু হয়েছে মিড ডে মিল। গত দুই বছরে অতিমারির কারণে একটি নির্দিষ্ট দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে চাল, সয়াবিন, ডালের প্যাকেট তুলে দেওয়া হত। এখন রান্না করা খাবার দিতে গিয়ে খরচ বেড়েছে। 

মিড ডে মিলের খরচ জোগাতে হিমশিম স্কুলগুলি। মিড ডে মিলের খরচ জোগাতে হিমশিম স্কুলগুলি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Apr 2022,
  • अपडेटेड 5:20 PM IST
  • বাজারে জিনিসপত্রের দামে আগুন।
  • মিড ডে মিলের খরচ জোগাতে হিমশিম দশা।
  • বরাদ্দা বাড়ানোর দাবি।

জিনিসপত্রের দামের আগের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তার জেরে মিড মিলের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছাত্র পিছু খরচ বাড়ানোর জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেছে বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। 

প্রাথমিক স্তরে প্রতি ছাত্রের জন্য ৪.৯৭ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ছাত্র পিছু ৭.৪৫ টাকা বরাদ্দের দাবি করেছে করেছে বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, জিনিসপত্রের দাম আগুন। ফলে নির্ধারিত বরাদ্দের মধ্যে খাবার জোগাতে গিয়ে পুষ্টির সঙ্গে আপোস করতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে গোটা ডিম দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির নবকুমার কর্মকার বলেন,'শহরের স্কুলগুলির মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করে দেয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু জেলার স্কুলগুলিকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অতিমারির আগে প্রাথমিকে পড়ুয়া পিছু ৪.৪৮ এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৬.৭১ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকায় আর কুলোচ্ছে না।' 
        
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ হাঁসদা জানান,'বাচ্চাদের খাবারের মেনুর অদলবদল করতে হচ্ছে। যেমন আগে সপ্তাহে দু'বার ডিমের ঝোলা দেওয়া হত। এখন একবারই ডিম দিতে হবে। তবে ডাল, সয়াবিন, আনাজপাতি, সেদ্ধ আলু দিয়ে খাবারের পুষ্টিগুণ ধরে রাখার চেষ্টা করছে বিভিন্ন স্কুল। কারণ শিশুদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপস করতে চাই না।'
   
তিনি আরও বলেন,'অনেক সময় শিক্ষকদের নিজের পকেট থেকে খরচ বহন করতে হয়। অতিমারি শেষ হওয়ার পর স্কুলে প্রচুর পড়ুয়া আসছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে জিনিসপত্রের। ফলে এই টাকায় মিড মিল দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। পড়ুয়া পিছু দৈনিক বরাদ্দ চাল ১৫০ গ্রাম। তাহলে মাসে ৩ কেজি দিয়ে কীভাবে পুষিয়ে যাবে? আর প্রতিদিন ১৫০ গ্রাম সাধারণ পড়ুয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতি শিশুর জন্য কমপক্ষে ৫০-১০০ টাকা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।' হাঁসদা যোগ করেন, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রতিদিন মুসুর ডাল দেওয়া হোক।  

Advertisement

মুর্শিদাবাদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা বেগম বলেন,'অনেক কষ্টে আমরা এখনও ৩ দিন সয়াবিন এবং ১ দিন ডিম দিচ্ছি।  একটা ডিমের দামই ৫.৫০-৬ টাকার মধ্যে। অতিমারির আগে ৫ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। এখন সেটাই ১৫ টাকায়।'

আরও পড়ুন

শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ৮৩,৯৪৫টি স্কুলে পড়ুাশুনো করছে ১,১৫,৮২৬৫৮ পড়ুয়া। প্রতিদিন বিনামূল্যে দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়। ২ বছরের বিরতির পরে দু'মাস আগে আবার চালু হয়েছে মিড ডে মিল। গত দুই বছরে অতিমারির কারণে একটি নির্দিষ্ট দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে চাল, সয়াবিন, ডালের প্যাকেট তুলে দেওয়া হত। এখন রান্না করা খাবার দিতে গিয়ে খরচ বেড়েছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ১৫ হাজার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (জেলা পরিষদ দ্বারা পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) রয়েছে রাজ্যে।

Read more!
Advertisement
Advertisement