করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ সেই কবে থেকে। তবে বন্ধ থাকার সুযোগে যে এমন কাজ করা যায়, তা কে ভেবেছিল। চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটে।
যাকে বলে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। একদিকে তৈরি হচ্ছে জিম। আর বন্ধ পড়ে থাকা ক্লাসরুম সেজে উঠছে নতুন করে।
বর্তমানে স্কুল বন্ধ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্কুলের ভেতরে তৈরি করা হচ্ছে জিম। আর স্কুল খুললেই তাই ছাত্রীদের সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য প্রধানশিক্ষিকার এমন প্রচেষ্টা।
স্কুল খুললে তারা এখন থেকে জিমে কসরৎ করতে পারবে। রানাঘাট দেবনাথ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়া বিশ্বাস ছাত্রীদের জন্য এমন সুযোগ করে দিচ্ছেন। এবার থেকে ছাত্রীদের সুসাস্থ্য গড়ার লক্ষ্যে স্কুলের মধ্যে তৈরি হয়েছে জিম।
এমন পরিকল্পনা খুব কম স্কুলে আছে। ইচ্ছা আর কিছু করার তাগিদ থাকলে কোনও বাধা হয় না। তা প্রমাণ দেবনাথ গার্লস স্কুল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্লাস ঘরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অঙ্কন শিল্পী সঞ্জু কুন্ডুকে দিয়ে ছবি আঁকিয়েছেন।
বর্তমানে স্কুল বন্ধ। তাই এমন কাজ করার সুযোগ ঘটেছে। ছাত্রীরা যাতে সুসাস্থ্য অধিকারী ও মন ভাল থাকে তার জন্য এই জিম। অনেক ছাত্রীর ইচ্ছা হয়। কিন্তু অনেক কারণে জিমে যেতে পারে না। তা সে আর্থিক বাধা হোক বা সময়ের অভাব। তাই এই জিম।
তাদের কথা মাথায় রেখে একজন ট্রেনারকে দিয়ে ছাত্রীদের জন্য এমন ব্যবস্থা। ছাত্রীদের ভাল রাখা, ভাল হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষিকা জয়া বিশ্বাসের এমন প্রচেষ্টা। তাঁর উদ্যোগের কথা জানতে পেরে খুশি সকলে। অনেকে বলছেন, বাকিরা এই থেকে অনুপ্রাণিত হবেন। স্কুল খুললে পড়ুয়ারা উপহার পাবে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, আমরা সুস্থ না থাকলে তা হলে মন ভাল থাকবে না। এই বিষয়টা অনেক পুরনো। আমাদের স্কুলে সব স্তরের পড়ুয়া রয়েছে। সবাই যে বাড়িতে শরীরচর্চা করতে পারবে, তেমন নয়। বিনা খরচে শরীরচর্চা বলতে মর্নিংওয়াক। তবে সবার মধ্য়ে সচেতনতাও নেই। এ ব্য়াপারে তাদের জানানোও যাবে।
তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য শক্তপোক্ত হতে হবে। তাই এই জিমখানা তৈরি করেছি। আমার কথা বলা হয়ে গিয়েছে। একজন ট্রেনারও থাকবেন। কী করে যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়, তা তিনি শেখাবেন। আমার মেয়েদের যত রকম ভাবে সুন্দর রাখা যায়, তা করতে চাই।
কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। ছাত্রীরা বেশ খুশি হবে নয়া রূপ দেখে।
তিনি বলেন, আমার এখনও ১০ বছর চাকরি আছে। আমি এই সময়ে যতটা পারব, করে যাব।