Visva-Bharati University SFI TMCP Joint Protest: হস্টেল খোলার দাবিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এ এসএফআই (SFI), তৃণমূল ছাত্রপরিষদ (TMCP)-এর আন্দোলন। বেড়া টপকে কেন্দ্রীয় অফিসে ঢুকল ছাত্ররা।
আরও পড়ুন: উপাচার্যকে কটূক্তি, মিউজিক থেরাপি নিয়ে গুচ্ছ বিধিনিষেধ বিশ্বভারতীর
রাজ্য রাজনীতির সমীকরনের বাইরে অন্য ছবি। বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-তে আন্দোলনে একসঙ্গে শামিল টিএমসিপি (TMCP) ও বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-তে হস্টেল খোলা ও অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে এই আন্দোলন।
কিছুদিন পরেই পুরসভা নির্বাচনের আগেই এমন দুই ছাত্র সংগঠনের একসঙ্গে আন্দোলন বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দেওয়া হলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ফের ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)। হস্টেল খোলার দাবিতে কর্মসচিবকে ডেপুটেশন দিতে আসে এসএফআই সমর্থিত কয়েকশো বিশ্বভারতীর পড়ুয়া। একই দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেয় তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ছাত্রছাত্রীরাও। এই ধরনের যৌথ আন্দোলন বিশ্বভারতীতে প্রথম।
বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা গেট বন্ধ করে দিলে বেড়া খুলে ভেতরে ঢুকে কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এদিন ২নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী তথা ছাত্রনেতা সোমনাথ সৌ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য একই আন্দোলনে মঞ্চে দেখার পর থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের দাবি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন উঠে যায়।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গিয়েছে, কিন্তু হস্টেল খোলা হচ্ছে না। এর ফলে বাইরে থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর সমস্যায় পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মোটা টাকা ভাড়া দিয়ে মেসে বা বেসরকারি হস্টেলে থাকতে হচ্ছে। অনেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই সমর্থিত পড়ুয়ারা এবং তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ছাত্রছাত্রীরা।
এদিন ছাত্রছাত্রীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কর্মসচিবকে ডেপুটেশন দিতে চাইলে কেন্দ্রীয় অফিসের গেট বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। দীর্ঘক্ষণ সেখানে বিক্ষোভ চলে। এর পরে ছাত্রছাত্রীরা কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে আসতে চাইলে গেট আটকে পড়ুয়াদের ঢুকতে বাধা নেয় নিরাপত্তারক্ষীরা, অভিযোগ।
এর পরেই গেটের পাশের তারের বেড়া খুলে ভেতরে ঢোকে আন্দোলনকারীরা এবং কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে প্রধান গেটে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আন্দোলনের জেরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার দু'দিকের দুটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর ফলে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এই বিষয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছু হলেই বিশ্বভারতী এই দু'টি গেট বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পূর্বপল্লি, দক্ষিণপল্লির বাসিন্দারা সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন।
এদিকে এইদিন আন্দোলনরত ছাত্ররা দাবি জানায় অবিলম্বে হস্টেল খুলতে হবে। বিশ্বভারতীতে অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সময় পিছতে হবে।
এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর এফএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সৌ বলেন, "হস্টেল খোলার দাবিতে এদিন আমরা ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। সব দিনের মত আমাদের গেট আটকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা তালা খুলে বেড়া টপকে ভিতরে ঢুকেছি। এই উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা একের পর এক আন্দোলন চালিয়ে যাব।"
তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, "হস্টেল বন্ধ থাকাতে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে ছাত্রীরা। তাই হস্টেল খুলতে হবে।"