প্রাইমারি টেট (Primary Tet) পরীক্ষা পাশ করে যাওয়া মানেই চাকরি এমনটা নয়। ঘোষণা করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেন।
গৌতম পাল (Goutam Paul) জানান, 'আমি এবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলেই দিয়েছি টেট পাশ করা মানেই কিন্তু চাকরি পাওয়া নয়। টেট হল যোগ্যতামান নির্ণায়ক পরীক্ষা। অতএব, টেট ২০১৪ বা ২০১৭ বা ২০১২ সালে টেট পাশ করেছি বলেছি বলেই চাকরি দিতে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। আমি যতদিন আছি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করব।'
গৌতম পাল আরও বলেন, ২০১৬ সালে শিক্ষাবিভাগ যে আইন প্রণয়ন করেছে সেই মোতাবেক কাজ করব। স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদেরও বার্তা দেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি বলেন, 'যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে। তাঁদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন।
২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের আবেদনের আর্জি জানিয়ে গৌতম পাল বলেন, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে যাঁরা পাশ করেছেন তাঁদের ২১ তারিখ থেকে রেজিস্ট্রেশন হবে। তিনি চেষ্টা করবেন যাতে এবারই নিয়োগ করানো যায়।
পর্ষদ সভাপতি আরও জানান, আমি চেষ্টা করব প্রতিবার অন্তত দুবার পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে টেটের নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে বলে তিনি আশাবাদী। তাঁর কথায়, 'আমি মনে করি ২০২৩ সালের মধ্যে কেউ টেট পাশ করে বসে থাকবেন না।'
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এবার বুকলেট দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন পর্ষদ সভাপতি। জানান, এতদিন পর্যন্ত এমন কোনও বুকলেট দেওয়া হত না। তবে এছর থেকে তা দেওয়া হবে। প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের যে ওয়েবসাইট আছে সেখানে তা আপলোড করা হবে। সবার সুবিধার জন্য। কোন ধরনের প্রশ্ন, কীভাবে প্রশ্ন আসবে ইত্যাদি সব থাকবে সেখানে।