শিল্পকলা চর্চার পীঠস্থান বাংলা। গান বাজনা বা নৃত্য, শিল্পের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে বঙ্গবাসীর এক নিবিড় টান। কথায় বলে, একটা সময় নাকি প্রতি সন্ধ্যায় বাংলার প্রায় প্রতি ঘরেই শোনা যেত হারমোনিয়ামে গলা সাধার সুর। বাড়ির বড়রাও ছোটদের উৎসাহ দিতেন শিল্পচর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য।
পরিবর্তিত সময়ে ব্যস্ততার যুগে সেই চিত্র কিছুটা বদলালেও একেবারে অবলুপ্তি ঘটেনি। এখনও সন্তানদের গান বাজনার সঙ্গে যুক্ত রাখতে চান অনেক বাবা-মা। তার জন্য রীতিমতো ছেলেমেয়েদের তালিমেরও ব্যবস্থা করেন তাঁরা। আপনিও কি নিজের সন্তানকে গানবাজনা শেখাতে চাইছেন? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শহর কলকাতার তেমনই কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ছেলেমেয়েদের সঙ্গীতের শিক্ষা দিয়ে আসছে।
বাণীচক্র মিউজিক অ্যান্ড ডান্স ট্রেনিং কলেজ - কলকাতার অন্যতম সেরা সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল বাণীচক্র। ১৯৫৭ সাল থেকে সঙ্গীতের শিক্ষা দিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, লোকগীতি ও আধুনিক গানের পাশাপাশি নৃত্য ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় এখানে। রয়েছে স্প্যানিশ গিটার, পিয়ানোর, কি-বোর্ডের মতো পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্র শিক্ষার ব্যবস্থাও।
দ্য ক্যালকাটা স্কুল অফ মিউজিক - পাশ্চাত্য সঙ্গীত শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র এই প্রতিষ্ঠান। ১৯১৫ সালে গড়ে ওঠে ক্যালকাটা স্কুল অফ মিউজিক। এখানে মূলত পাশ্চাত্য সঙ্গীত ও নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে ভারতীয় সঙ্গীত শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। ১৯৭৫ সালে সেই বিভাগটির উদ্বোধন করেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর।
লন্ডন কলেজ অফ মিউজিক - ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান হল লন্ডন কলেজ অফ মিউজিক। কলকাতার সেন্টারটিও সেই একই সিলেবাস অনুসরণ করে সঙ্গীতের শিক্ষা দেয়। এই প্রতিষ্ঠানে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের বিস্তারিত জ্ঞান পেতে পারে ছাত্রছাত্রীরা।
ক্যালকাটা মিউজিক অ্যাকাডেমি - এটি হল কলকাতার আরও এক নামজাদা সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র। গান ছাড়াও গিটার, পিয়ানো, কি-বোর্ড বেহালা, তবলা, ড্রামসের মতো মিউজিক্যাল ইনস্ট্রমেন্টের ক্লাসও এখানে করানো হয়। তাছাড়া ট্রিনিটি কলেজ অফ লন্ডন, লন্ডন কলেজ অফ মিউজিক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও গাঁটছড়া বাঁধা রয়েছে এই অ্যাকাডেমির।
তরঙ্গ ডান্স মিউজিক অ্যান্ড অ্যাকটিং ইনস্টিটিউট - ১৯৯৫ সালে এই সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা শুরু। গানের পাশাপাশি গিটার, ড্রামস, কি-বোর্ডের মতো বাদ্যযন্ত্রের শিক্ষাও এখানে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় সঙ্গীত জগতের দিকপালরা এখানে ফ্যাকাল্টির আসন অলঙ্কৃত করেছেন।
আরও পড়ুন - কোন প্রাণী শুঁকে ক্যান্সারের গন্ধ পায়? রইল উত্তর