চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই সঙ্গে আগামী বছরের পরীক্ষার নির্ঘণ্টও জানিয়ে দেওয়া হল। এ বছরের ১৪ মার্চ শুরু হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলেছিল ২৭ মার্চ পর্যন্ত। গতবছর পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হয়ে যাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।
পরের বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের নির্ঘণ্টও জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি জানান,'পরের বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।' পরীক্ষার সময়ও পরিবর্তন হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এ বছর সময় দেওয়া হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকে। ২০২৪ সালে পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিকের মতো এগিয়ে আনা হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৯১.৮৬%। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৭.২৬%। পাশের হারে এগিয়ে ৯৫.৭৫ শতাংশ। প্রথম স্থানাধিকারী হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। শতাংশের হিসেবে ৯৯.২। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ের সুষমা পাল এবং উত্তর দিনাজপুরের আবু সামা। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। নিজের রেজাল্ট জানুন এই লিঙ্কে-
মেধাতালিকায় অন্য জেলাগুলিকে টেক্কা দিয়েছে হুগলি। ৮৭ জনের মধ্যে শুধু ওই জেলারই ১৮ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হারে দশম স্থানে কলকাতা। রেজাল্ট দেওয়া শুরু হবে ৩১ মে থেকে। মাধ্যমিকের মতো এ বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট ও শংসাপত্রে থাকবে কিউআর কোড। যা স্ক্যান করলেই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর, রোল নম্বর জানা যাবে। ভুয়ো রেজাল্ট রুখতেই এই উদ্যোগ।
একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি। সংসদ সভাপতি জানান,'২০২৩-২৪ সালে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের উপর ন্যস্ত থাকবে। প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা পরিচালনা, উত্তরপত্র ও মূল্যায়ন করার দায়িত্ব থাকবে বিদ্যালয়ের উপর। শুধু বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট সংসদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।'