সোমবারের পর মঙ্গলবারেও নিয়োগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ নার্সদের। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। অভিযোগ, তিন হাজার নার্স নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তাতে রয়েছে বিস্তর গোলমাল। ঠিক কী নিয়ে অভিযোগ?
-বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁরা নার্সিংয়ের কাজ করেন। করোনার সময় তাঁরা খেটেছেন। সরকারি হাসপাতালের নিয়োগে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
-২০১৮, ২০১৯, ২০২০ সালে নার্সিং ট্রেনিংপ্রাপ্তদের ইন্টারভিউও নিয়েছে সরকার।
-মোট ৫,০০০ জনের ইন্টারভিউ নিয়েছিল বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। নেওয়া হয়েছে ২০০০ জনকে। গত ২০ মে মেধাতালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর।
-সেই প্য়ানেলে পুরনোদের নাম নেই। সবাই ২০২১ সালে নার্সিং ডিগ্রি পাওয়া প্রার্থী।
-বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রেশন নেই অথচ প্যানেলে নাম রয়েছে এমন চাকরিপ্রার্থীও রয়েছেন।
- এমনকি মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অনেককে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়নি।
- তালিকায় বহু গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ডিগ্রিধারী নার্সরা। রাতে তাঁদের বাসে করে বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নার্সরা ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশের বক্তব্য, রাজ্য হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই নার্সদের আটকানো হয়।