Advertisement

Rajmata Amrita Roy: রেখার পর এবার অমৃতা রায়কে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কী কথা হল রানি মা-র সঙ্গে ?

বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের পর কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষ্ণনগরে এবার কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে।

অমৃতা রায়কে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদীরঅমৃতা রায়কে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 27 Mar 2024,
  • अपडेटेड 1:15 PM IST
  • কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
  • কৃষ্ণনগরে এবার কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি

বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের পর কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষ্ণনগরে এবার কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে।

রাজমাতাকে মোদী বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্রদের কাছ থেকে লুট করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের থেকে ইডি সম্পদ ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করছে। তাদের মাধ্যমেই বাংলার গরিব মানুষের টাকা ফেরানোর জন্য আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে একদিকে বিজেপি দেশে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্যদিকে সমস্ত দুর্নীতিবাজ একে অপরকে বাঁচাতে একত্রিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ 'পরিবর্তন'-কে ভোট দেবে।

তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রার বিরুদ্ধে অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে জিতেছিলেন মহুয়া মৈত্র। ৬,১৪,৮৭২ ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে বিজেপির কল্যাণ চৌবে পান ৫,৫১,৬৫৪ ভোট। সেই নির্বাচনে মহুয়া মৈত্রের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল পলাশিপাড়া এবং কালীগঞ্জ বিধানসভা। যদিও গত পাঁচ বছরে কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপি নিজেদের সংগঠন মজবুত করেছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেও সংসদে অভিযোগ উঠেছে। এবারের ভোটে তার অ্যাডভান্টেজ নিতে চাইবে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, অমৃতা রায় একজন স্থানীয় মুখ। তিনি বেশ পরিচিতও। মহুয়াকে টক্কর দেওয়ার জন্য তিনিই সব থেকে যোগ্য।

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য সৌমিশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী অমৃতা রায়। রাজনীতিতে নবাগতা হলেও রাজপরিবারের গৃহবধূ হওয়ার সূত্রে কৃষ্ণনগরে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। সেই কারণেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। অমৃতা রায়ের জন্ম ১৯৬১ সালে। তিনি রাজা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ৩৯ তম কুলবধূ।

তাঁর লেখাপড়া কলকাতায়। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলে। পরে রানি বিড়লা কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। ইন্টিরিয়র ডেকোরেশনে তিনি বিশেষ পারদর্শী। ক্রিয়েটিভ ডিজাইন নিউ এক সময় কনসালটেন্ট করতেন। অমৃতা রায়ের স্বামী এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি করতেন। তাঁদের সন্তান মনীশ চন্দ্র রায় পেশায় আইনজীবী। এমনিতেই কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক ঐতিহ্য রয়েছে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভারতের ইতিহাসের একজন নামকরা ব্যক্তিত্ব। ১৮ শতকের একজন গুণী প্রশাসক ছিলেন। তাঁর জ্ঞান ও দূরদর্শীতা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাঁর ৫৫ বছরের শাসনকাল বাঙালি সংস্কৃতির গৌরবময় ইতিহাসকে তুলে ধরে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement