আজ ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জন্মদিন। ১৯৫৫ সালে এই দিনেই কলকাতায় জন্ম তাঁর। যদিও তাঁর সমর্থক ও অনুগামীদের কাছে তিনি 'দিদি' নামেই বেশি পরিচিত।
সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য রাজনীতিতে বরাবরই আলাদা পরিচয় রয়েছে মমতার। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা রেলমন্ত্রী। মোট ২ বার রেলমন্ত্রী হন মমতা।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের কয়লা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া এবং নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মমতা। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে হঠিয়ে ক্ষমতায় আসেন তিনি। যার নেপথ্যে ছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান তৃণমূল নেত্রী।
স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন মমতা। সত্তরের দশকে তাঁকে রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। খুব অল্প বয়সেই বাবাকে হারান মমতা।
জানা যায়, ছোট থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। এক সময় তাঁকে দুধ বিক্রির কাজও করতে হয়। ছোট ভাই বোনেদের পড়াশোনা এবং মাকে সাহায্য করার দায়িত্ব ছিল তাঁরই ওপরে। ছোট থেকেই কঠোর পরিশ্রমী এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
দক্ষিণ কলকাতার যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন তিনি। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে শ্রীশিক্ষায়তন কলেজ থেকে বিএড এবং যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন মমতা।
১৯৭০-এ সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন মমতা। ১৯৭৬ থেকে ৮০ পর্যন্ত মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেশের কনিষ্ঠতম সাংসদ হন মমতা।
গোটা রাজনৈতিক কেরিয়ারে সাদামাটা জীবন যাপন করে এসেছেন তিনি। পরনে তাঁতের শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল। কোনও গয়না বা প্রসাধনী সামগ্রীও ব্যবহার করতে দেখা যায় না তাঁকে।
তাঁতের শাড়ি ও হাওয়াই চপ্পলের সঙ্গে কাঁধে সুতীর ঝোলা ব্যাগ। দলের কর্মী সমর্থক ও আমজনতার কাছে এটাই তাঁর ছবি।
রাজনীতির পাশাপাশি ছবি আঁকা, কবিতা লেখা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।