গত বুধবার নন্দীগ্রামে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ওপর পরিকল্পিত হামলা চালান হয়েছে এমনটাই দাবি করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। একই অভিযোগ করছে তাঁর দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে ঘাসফুল শিবির। গোটা ঘটনাতেই তাদের অভিযোগের তির গেরুয়া শিবিরের দিকে। এদিকে মমতার আহত হওয়ার খবরে কেজরিওয়াল থেকে অখিলেশ-তেজস্বী-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক লের নেতারা আরোগ্য কামনা করলেও চুপ রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানো শুভেন্দু অধিকারীও। এই আবহে বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আর এর মাঝেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করলেও তাঁর আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
চেন্নাইতে বসেছে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ সাইথ ২০২১ এর আসর। সেখানেই সাংবাদিক রাহুল কানোয়াল জেপি নাড্ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে গিয়ে চোট পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের নীরবতা নিয়েও জানতে চান। তার জবাবেই নাড্ডা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেন, সেই সঙ্গেই অবশ্য মন্তব্য করেন, 'সচ্চাই কভি ছুপতে নেহি।' কথাতেই স্পষ্ট বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে কী ইঙ্গিত দিতে চাইছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
নাড্ডা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনার দিন এবং গতকালের (বৃহস্পতিবার) বক্তব্যের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করুক বলেও কনক্লেভে দাবি করেন নাড্ডা। উল্লেখ্য এদিনই দিল্লির নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। নাড্ডা বলেন, বাংলার মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন। তাই কে সঠিক বলছেন আর কে নাটক করছেন তা সহজেই ধরে ফেলবেন তারা। একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ওপর হামলার ইস্যুকে হাইলাইট করে সহানুভূতি পেতে চাইলেও মানুষ সত্যিটা বোঝেন। তাই তোলাবাজ পিসি-ভাইপোর বদলে এবার একুশের ভোটে তারাই সরকার গড়বেন বলে সাউথে ইন্ডিয়া টুডের কনক্লেভ থেকে দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।