Advertisement

প্রার্থী নন! একুশের ভোটে BJP-র 'তারকা প্রচারক'-এর দায়িত্ব পেলেন দিলীপ

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রার্থী হচ্ছি না। বৃহস্পতিবারই বাকি থাকা আসনের বেশির ভাগ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। তবে সেখানে আমার নাম থাকছে না। রাজ্য সভাপতি হিসেবে দল আমায় গোটা রাজ্যে প্রচারে নেতৃত্ব দিতে বলেছে। সবাই প্রার্থী হবেন। আর আমি সকলকে জেতানোর দায়িত্বে।’’ 

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিলীপ ঘোষ হবেন 'তারকা প্রচারক'।
অনুপম মিশ্র
  • কলকাতা ,
  • 18 Mar 2021,
  • अपडेटेड 3:47 PM IST
  • জল্পনা ছিল হয়ত দিলীপ ঘোষকেও মাঠে নামান হতে পারে
  • এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর তালিকাতেও তাঁর নাম জোড়ালো হচ্ছিল
  • জেপির শীর্ষ নেতৃত্বর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিলীপ ঘোষ হবেন 'তারকা প্রচারক'

বঙ্গ জয়ের পরিকল্পনায় একাধিক সাংসদের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী করেছে বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। তবে বৃহস্পতিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন দিলীপ ঘোষ নিজেই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন একুশের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। 

ঠিক কী জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রার্থী হচ্ছি না। বৃহস্পতিবারই বাকি থাকা আসনের বেশির ভাগ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। তবে সেখানে আমার নাম থাকছে না। রাজ্য সভাপতি হিসেবে দল আমায় গোটা রাজ্যে প্রচারে নেতৃত্ব দিতে বলেছে। সবাই প্রার্থী হবেন। আর আমি সকলকে জেতানোর দায়িত্বে।’’ 

প্রসঙ্গত, বিজেপি যখন তাদের দ্বিতীয় তালিকায় আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, হুগলির লকেট চ্যাটার্জী, স্বপন দাশগুপ্ত ও নিশীথ প্রামানিকের মতো চার সংসদ সদস্যের নাম ঘোষণা করেছিল তখন জল্পনা ছিল হয়ত দিলীপ ঘোষকেও মাঠে নামান হতে পারে। যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিলীপ ঘোষ হবেন 'তারকা প্রচারক'। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে খড়্গপুর সদর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন দিলীপ। এর পরে সেই পদ ছেড়ে ২০১৯ সালে মেদিনীপুর থেকে সাংসদ হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন।

বুধবার রাতে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, নীতিন গডকরি, জে পি নাড্ডারা। প্রচারের জন্য দিলীপের জন্য বিজেপি একটি বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থাও করেছে বিজেপি। দিল্লি থেকে ফেরার পরে সকালে নিজেই নিজের সেই প্রচার গাড়ির সূচনা করে দিলীপ রওনা দেন হুগলির আরামবাগের উদ্দেশে।

সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলের প্রার্থীকে বদল করার দাবিতে উত্তাল হয়েছে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। হেস্টিংসে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভও দেখান কর্মীরা। কলকাতা-সহ অনেক জেলায় বিজেপির মতবিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। পুরানো বিজেপি কর্মীরা থাকতে কেন তৃণমূল নেতাদের দলে নিয়ে টিকিট দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রকাশ্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন কর্মীরা। যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও জানান হয়।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement