ফের তৃণমূলে ভাঙণ। এবার জল্পনা সত্যি করে দল ছাড়লেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। গত মাসখানেক ধরেই তাকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনাকে এবার তিনি সত্যি প্রমাণ করে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। জল্পনা চলছে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
দল ছাড়লেন দীপক হালদার
সোমবার সকালে দলকে স্পিড পোস্ট মারফৎ পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন দীপক হালদার। তবে দল ছাড়লেও বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। আদৌ বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সে সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বললেও একেবারে সে কথা উড়িয়ে ও দেননি। দীপকের মূল অভিযোগ, দীর্ঘ সাড়ে চার বছর ধরে তাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় নি। দলের কোন কর্মসূচিতে তাকে ডাকা ও হয় নি। এ নিয়ে বারে বারে দলের উপর নেতৃত্বকে জানিয়েও কোন লাভ হয় নি বলে অভিযোগ দীপকের। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বেসুরো ছিলেন। এদিন দলের সদর দফতর, জেলা সভাপতি সহ একাধিক জায়গায় নিজের পদত্যাগ পত্র স্পিড পোস্ট মারফৎ পাঠিয়ে দেন। জল্পনা চলছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এ মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি।
বিজেপিতে যোগের জল্পনা
তবে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডায়মন্ড হারবারের বিধায়কের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছিল। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও দেখা যায়নি তাকে। জল্পনা বাড়িয়ে একবার তাকে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। দলের মধ্যেই বেশ কয়েকবার বেসুরো হয়েছিলেন তিনি। এবার সরাসরি দল ছাড়লেন দীপক হালদার।
প্রসঙ্গত, রবিবারই হাওড়ার ডুমুরজলায় একঝাঁক তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর আগেও ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ শুভেন্দুর সঙ্গে বিরাট ভাঙণ ধরেছিল তৃণমূলে। একসঙ্গে প্রায় ৭জন বিধায়ক বিধায়ক ও ১ সাংসদ তৃণমূল ত্যাগ করেছিল। এবার তালিকায় নয়া নাম দীপক হালদার। ফলে নির্বাচনের আগে স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে। যদিও এই দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন নির্বাচনে ফের জয়ের আশাবাদী তাঁরা।