কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুযা মৈত্রতে নিয়ে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। দু’ পয়সার প্রেস, এভাবেই নদিয়ার গয়েশপুরে কর্মী সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্বোধন করেছিলেন উচ্চশিক্ষিতা মহুয়া মৈত্র। এবার একেবারে এক সাংবাদিককে সপাটে চড় কষালেন তৃণমূল বিধায়ক। সাংবাদিকের লেখা খবর তাঁর পছন্দ হয়নি। সেই কারণে নিজে হাতে আইন তুলে নিলেন ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী।
গত কয়েকদিন বল বেসুরো বাজছেন ময়ানগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। এর আগে প্রকাশ্যে ময়নাগুড়ির জেলা পরিষদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। গত একমাস ধরে তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নামে বিষদগার করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর। এই আবহেই গতকাল ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথারিটির এক অনুষ্ঠানের সভামঞ্চ থেকে ফের জেলাপরিষদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অনন্তদেব। সেই খবর করেন ময়নাগুড়ির সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তী। সেই খবর বেসুরো হওয়াতেই মঙ্গলবার একেবারে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হলেন শ্রীমান বিধায়ক।
মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে ওপেন জিম উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিলো। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তীতে দেখেই তাঁকে তলব করেন বিধায়কবাবু। এরপরেই বিরুদ্ধ খবর করায় শুরু হয় হম্বিতম্বি ও হুমকি প্রদর্শন। পেশার তাগিদে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের সামনে আসল খবর তুলে ধরাই সাংবাদিকের পেশা। এই কথা মনে করাতেই বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী ঠাঁটিয়ে থাপ্পড় মারেন সাংবাদিকের গালে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান উপস্থিত তৃণমূল নেতৃত্ব। ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়কের এমন আচরণে এরপরেই রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।